তাহিরপুরের দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, বাগেরহাট থেকে উদ্ধার
তাহিরপুর থেকে অপহরণ হওয়া দুই কয়লা ব্যবসয়ীকে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পানগুছি নদীর পাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগেও ৩ জনকে আটকও করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া দুই কয়লা ব্যবসায়ী হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাকমা গ্রামের আলী মুদ্দিনের ছেলে নুরুল আলম (৩৭) ও একই উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে মুসলিম মিয়া (৩৫)। জানা যায়, ৩০ জুন ইটভাটার জন্য কয়লা কিনার কথা বলে নুরুল আলম ও মুসলিম মিয়াকে সুনামগঞ্জ থেকে পিরোজপুর ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাদের অপহরণ করে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সুনামগঞ্জ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তারা বিষয়টি বাগেরহাট পুলিশকে জানায়। পরে শুক্রবার মুক্তিপণের টাকা দেওয়া কথা বলে তিন অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত কয়লা ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান, ইটভাটায় কয়লা লাগবে বলে চুক্তি করতে অপহরণকারীরা সুনামগঞ্জ থেকে পিরোজপুরে তাদেরকে ডেকে নেন। পরে নদীর পাড়ে নিয়ে নৌকায় তুলে দুইদিন আটক রেখে মানসিক নির্যাতন করে।
সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অপহরণের বিষয়টি জানার পর তা বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করি। পরে তাদের জেলা পুলিশের একাধিক টিম অপহৃত দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। দুইদিন পর তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, সুনামগঞ্জের দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে ব্যবসার কথা বলে একটি চক্র এখানে নিয়ে আসার পর অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বাগেরহাট শহরের এসএ পরিবহনের অফিস থেকে মুক্তিপণের টাকা উত্তোলনের সময় তিন অপহরণকারীকে আটক করা হয়।