তাহিরপুরে গাছ কাটা নিয়ে সাবেক-বর্তমান চেয়ারম্যানের বাকবিতন্ডা, উত্তেজনা
তাহিরপুর :: তাহিরপুরে সরকারী গাছ কাটা নিয়ে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের মধ্যে। রবিবার দুপুরে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে বাদাঘাট বাজার যাওয়ার রাস্তার মধ্যে দুই সংবাদকর্মীর সামনে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে রবিবার সাড়ে ৪ টার দিকে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আসিফ আফিন্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে উত্তর বড়দল ইউনিয়র পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে রাস্তার মধ্যে দেখতে পান উত্তর বড়দল থেকে বাদাঘাট সড়কে লাগানো সরকারী বিভিন্ন গাছের ঢাল-পালা কাটছে কিছু শ্রমিক। তিনি শ্রমিকদের কাছে গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে শ্রমিকরা জানায়, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের নির্দেশে তারা গাছের ঢাল- পালা কাটছেন। এসময় সরকারী গাছের ডাল না কাটার জন্য শ্রমিকদের নিষেধ দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম। নিষেধ দেয়ার কিছুক্ষন পরেই সাবেক চেয়ারম্যার জামাল উদ্দিনও ঘটনাস্থলে আসেন। সরকারী গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগান্তরের তাহিরপুর প্রতিনিধিও ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে দুই সংবাদকর্মীর সামনেই গাছের ঢাল কাটা নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়ে পরষ্পরের মধ্যে উচ্চস্বরে বাক বিতন্ডা শুরু শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে এখানে থাকা গণমাধ্যম কর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন দুই চেয়ারম্যান কে দুইদিকে ফিরিয়ে দেন। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত দুই চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই তপন চন্দ্র দাস বলেন, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম গাছ কাটার সংবাদ দিলে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাটিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনকে অনুমতি ব্যাতিত সরকারী গাছ না কাটার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, সরকারী গাছ কাটার সময় তার শ্রমিকদের বাধা প্রদান করায় জামাল উদ্দিন আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে। সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, রাস্তা লাগানো গাছের ঢালপালা আমির ফসলি জমির উপর পরে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছিল। যাতে ফসল নষ্ট না হয় এ জন্য বলছিলাম শ্রমিকদের গাছের ঢালগুলো চাটাই করে দেয়ার জন্য। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব তাহিরপুর) সমীর বিশ্বাস বলেন, আমাকে মৌখিক ভাবে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাছ কাটার বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি বর্তমানে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মিটিংএ আছি, বিষয়টি পরে দেখবো।