সুনামগঞ্জ  :: নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িত থাকার বিষয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো: আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেন ওই নারী। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্র্যাট মো: হারুনূর রশিদের কার্যালয়ে অভিযোগকারী ওই নারীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে নারীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড: শামছুন্নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, এডিশনাল এপিপি এড: সামসুল অবেদীন ও এড: হিমেল। অভিযোগকারী নারী প্রকাশ্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের প্রেম পরবর্তী তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সংসার করার কথা জানান। ওই নারী জানান, চাকুরী দেবার নাম করে আসিফ ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে কাবিন নামা তৈরি করে দীর্ঘদিন তারা বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার মীরপুরে একটি ফ্লাটে স্মামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করে আসছিলেন।অসাবধানতাবশথ তার গর্ভে সন্তান আসায় ইউএনও বাচ্চা নষ্ট করার জন্য তাকে চাপ দেন। এমন প্রস্তাবে রাজী না হলে তাকে বিয়ে পর্যন্ত করবেন না বলে জানিয়ে দেন ইউএনও। বিষয়টি নিয়ে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ইউএনও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে তার উপর ইউএনওর লোকদের হামলায় গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ওই নারীর ইউ্এনও বিরোদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার বিভাগ শাখা) মো: এমরান হোসেনকে দায়িত্ব দিলে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন মর্মে আবারো তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন ভিকটিম। আবেদনের পর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্র্যাট মো: হারুন উর রশিদ বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে রির্পোট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার অভিযুক্ত ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা না বলে দ্রুত একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুনুর রশিদ জানান উভয়পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন চলছে। তদন্তে তিনি ( ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজ) দোষী প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn