তাহিরপুর :: তাহিরপুর উপজেলায় বিএডিসির ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করা বীজ নিন্ম মানের বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাওরের পানি কমতে শুরুর করার সাথে সাথে সেখানেই কৃষকরা ব্রি-আর ২৮ ও ব্রি-আর ২৯বীজ ধানের বীজ বপন শুরু করে। কিন্তু যে পরিমান চারা গজানোর কথা সে পরিমান চারা গজাই নি। জমির অনেক অংশেই ফাঁকা রয়েছে। গত দু বছর ধরেই হাওরে অকাল বন্যায় হাওরবাসীর একমাত্র সম্পদ বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয় কৃষকরা কষ্টের দিন পার করেছে। এখন যদি বীজে এমন হয় তাহলে এক দিকে চারা গজাতে সময় নষ্ট অন্য দিকে বোরো জমি চাষ করতে দিগুন পরিমানে টাকা ব্যয় করা,সামনে অকাল বন্যায় আবারও বোরো ফসল ক্ষতির আশংকায় করছে কৃষকগন। এই ভাবনায় হাওরাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ কৃষক উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় মধ্যে সময় পার করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ব্রি আর ২৮,বি-আর-২৯সহ বিভিন্ন জাতের বীজ ধান উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিএডিসির নিযুক্ত ২০জন ডিলার বিভিন্ন হাট বাজারে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা বীজ বিক্রি করছে। কৃষকরাও স্থানীয় বাজার থেকে বীজ ধান ক্রয় করছেন বিএডিসির নিযুক্ত বীজ ডিলার ও বীজ বিক্রেতাদের কাছ থেকেই। কৃষকদের অভিযোগ বিগত বছর তারা প্রতি ১০কেজি বস্তা ওজনের ব্রি-আর ২৮ ও ২৯ ধান কিনেছেন ৩শ ৫০টাকা দিয়ে,চলতি বছর তারা স্থানীয় বাজার তাহিরপুর,বালিজুরী,বাদাঘাট,শ্রীপুর বাজার থেকে ব্রি-আর ২৮ধান ক্রয় করছেন ৪শ ৭০টাকা এবং ২৯ধান ক্রয় করছেন ৫শ ৫০টাকা দিয়ে তার পরেও তারা ভাল মানের বীজ পাচ্ছেন না। ফলে বিগত বছর ফসল হারানো কৃষকরা স্বপ্ন বুননের পথে নতুন করে আবার হোছট খাচ্ছেন নি¤œ মানের বীজ ধান কিনে। নুরুল হুদার,আবুল কালামসহ বিভিন্ন হাওরের কৃষকগন বলেন,ধান ফালাইলাম চারা তো উঠল না,বীজ তো আর নাই যে কিছু যে আবার ফালাইমু,বীজ ধান তো ফালাইছিলাম হিসাব করেই। এখনতো মনে হচ্ছে বোরো জমি লাগাইতে চারার টান পরবে। তারা আরো জানান,ব্রি-আর ২৮ ও ব্রি-আর ২৯বীজ ধান এ বছর গজিয়েছে কম। ফলে হিসেব করে বীজ তলাতে ধান বপন করলেও বোর রোপন মৌসুমে হয়তো তাদের আরও ধানের চারা কিনতে হবে।
শনির হাওরপার মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম তিনি বলেন,তিনি চলতি বছর ২০কেয়ার জমিতে বোর ধান রোপন করবেন। সে হিসেবে তিনি বীজ ধান বপন করেছেন (৪মন) ১৬০কেজি। ধানের মান ভাল না থাকায় ধান কম গজিয়েছে। তাহিরপুর বাজারের ডিলার সাময়ুন কবির বলেন,বিএডিসি থেকে আমরা যে বীজ ধান পেয়েছি তাতে গজানোর সর্ব নি¤œ ক্ষমতা রয়েছে ৮০%। সেই সাথে কৃষকদের প্রক্রিয়াজাত করনে কিছু ত্রুটি থাকায় আরও কিছু পার্সেন্টিজ কমেছে। তাহিরপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন চন্দ্র পাল বলেন,প্রতিটি ধানের বস্তার প্যাকেটে নির্দেশনা রয়েছে সে নিয়মানুসারে ধান পক্রিয়জাত করলে সম্পূর্ন ধান গজানোর কথা। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন,দু’একজন কৃষক আমাকে এই বিষয়টি অবহিত করেছেন। খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সুনামগঞ্জ জেলা বিএডিসি বীজ কর্মকর্তা আওালদ হোসেন বলেন,ক্রাইসিস মুহুর্তে ভিন্ন পন্থায় কিছু বীজ টুকে স্থানীয় বাজারে। বিএডিসি যে সমস্ত বীজ সরবরাহ করে ডিলারদের মাধ্যমে তা ঠিক আছে। এর পরেও আমি মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিচ্ছি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২৫২ বার