তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে ফের কয়লা আমদানী শুরু
তাহিরপুর :: তাহিরপুর সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে কয়েক দফা কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার পর আবার কয়লা আমদানী আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের মেঘালয় মাইন ওনার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এবং তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানির কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। প্রথম দিনে এই শুল্কষ্টেশন দিয়ে ৯টি ট্রাকে ৯৯ টন কয়লা আমদানী হয়। তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার সময় ভারতের মেঘালয় রাজ্যে থেকে একে একে ৯টি কয়লাবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আসার পর তাহিরপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় কর্মচাঞ্চল্য শুরু হতে দেখা যায়। ভারতের মেঘালয় মাইন ওনার্স এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ন্যাসার শিং এর উপস্থিতিতে ভারত থেকে আসা কয়লাবোঝাই ট্রাকগুলো গ্রহণ করেন- সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন খান, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ সমিতির সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম, বড়ছড়া কাস্টম সুপার কামরুজ্জামান, ট্যাকেরঘাট বিজিবি কম্পানী কমান্ডার আব্দুর রাশেদ, আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, গিয়াস উদ্দিন খন্দকার, ফরিদ গাজী, জাহের আলী, হাসান মিয়া, ইউনুস মিয়া, কদ্দুস মিয়া, জিল্লুর রহমান, মকবুল হোসেন, এনামুল হক প্রমুখ। তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ খন্দকার জানান, ভারতের মেঘালয়ের পরিবেশবাদী সংঘটনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ১৩ মে থেকে আদালতের রায়ে কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল। পরে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের কয়লা রপ্তানিকারকরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত উত্তোলিত কয়লা রপ্তানির জন্য আগামী ৪ মাসের জন্য সময় দিলে পুনরায় বৃহম্পতিবার থেকে বড়ছড়া দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বাগলী ও চারাগাও শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদী শুরু হবে।