ত্রিদেশীয় সিরিজঃবাদ পড়ছেন তাসকিন-সৌম্য!
ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ওয়ানডে দল আজ ঘোষণা হতে পারে। অবশ্য শুরু থেকেই দল নিয়ে চলছে আলোচনা। বিষয় বরাবরের মতোই- কে থাকছেন আর কে থাকছেন না! কে হচ্ছেন দলের নতুন মুখ? ১৫ সদস্যের দল ঘোষণার আগেই ২-৩ জন তারকা ক্রিকেটারের দল থেকে বাদ পড়ার গুঞ্জন এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে আজই বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল) খেলতে তাসকিন আহমেদ হয়তো যোগ দিবেন দলের সঙ্গে। তাই তার ওয়ানডে সিরিজে না খেলার সম্ভাবনা বেশি।সৌম্য খেলবেন প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। এই দুই তরুণ তারকার বাদ পড়াটাই হবে জাতীয় দলের বড় চমক। তাহলে তাদের পরিবর্তে দলে আসছেন কারা? জানা গেছে স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও পেসার আবু জায়েদ রাহীর নতুন মুখ হিসেবে দলে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যদিও তাদের নাম রয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল দলে। এছাড়াও দলে ফিরতে পারেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। মূলত ৮ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে চার পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে সাজানো হতে পারে রণ কৌশল।
দল সম্পর্কে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘টিমটা হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো। প্ল্যানিং আমরা করছি। বেস্ট ১৫ হয়তো পেয়ে যাবো। তখন পরিকল্পনা করতে আরো সুবিধা হবে। আমরা তো জানি কারা খেলবে। ৮-১০ জন তো কনফার্ম আছে যারা খেলবে। কম্বিনেশন কী হবে সেটা প্রতিপক্ষ দেখে ঠিক করবো। শ্রীলঙ্কা জিম্বাবুয়ে টিম এখনো দেয়নি। ওদের দল কেমন হয় সেটিও ভাবতে হবে আমাদের।’ গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে তার পার্টনার কে হবেন? সৌম্য সরকার নাকি এনামুল হক বিজয়? সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে সৌম্যের দলে থাকার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই নেই। তার পরিবর্তে জাতীয় লীগে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো বিজয়ের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একটি সূত্রে জানা গেছে, বিজয় সুযোগ পেলে হয়তো খেলবেন প্রথম ওয়ানডেতেই। দারুণ ফর্মে আছেন ২ বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়া এ ক্রিকেটার। এছাড়াও দলে থাকছেন আরেক পরীক্ষিত ওপেনার ইমরুল কায়েসও। যাকে সাবেক কোচ হাথুরুনিসংহে ওপেনিং থেকে সরিয়ে তিনে খেলানোর পরীক্ষা চালিয়ে ছিলেন। এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম দলের হাল ধরবেন, রাখা হবে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও। এনসিএলে মাত্র ৫ রানের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি বঞ্চিত নাসির হোসেনও থাকবেন দলে। ওদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বড় জরিমানা গুনলেও সাব্বির রহমান রুম্মানের ক্রিকেট মেধার উপর আস্থা রাখছে বিসিবি। যে কারণে দলে সাব্বির থাকবেন এটাও নিশ্চিত।
অন্যদিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পেস আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে রুবেল হোসেনের থাকাও নিশ্চিত, রাখা হচ্ছে তরুণ পেসার সাইফউদ্দিনকেও। লঙ্কার বিপক্ষে পেস আক্রমণে গুরুত্ব দিয়ে দলে বাড়তি পেসার হিসেবে রাখা হতে পারে আবু জায়েদ রাহীকে। বিপিএলে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট সিলেটের এ তরুণের। এছাড়াও স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ থাকছেন নিশ্চিতভাবেই। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে রাখা হতে পারে বিপিএলে দারুণ করা বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে। তবে শেষ পর্যন্ত অপুর পরিবর্তে সানজামুল ইসলামকেও দলে বিবেচনা করা হতে পারে। কারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি সানজামুলের ব্যাটিং সুবিধাটাও নিতে চাইবে দল। এছাড়াও রুবেল হোসেনকে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হতে পারে। আর আলোচনায় আছে আরিফুল হকের নামও। নতুন কারো সম্ভাবনা নিয়ে সুজন বলেন, ‘চমক থাকবে কিনা বলতে পারবো না। আমি বলেছি আমাদের প্রয়োজনে আমরা কম্বিনেশন সাজাবো। এক একটি প্লেয়ারের এক একটি স্পেসিফিকেশন আছে। এক একজন এক এক রকমের। তো ওই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী দল হবে। আপনি যদি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেন, ওয়ানডে ফর্মটা হচ্ছে ১-১০ ওভার, ১১-৪০ ও ৪০-৫০ ওভার তিনটা পাওয়ার প্লে। প্রথম দশে দুইজন, পরেরটাতে ৪ জন ও পরেরটা ৫ জন। প্রথম দুইজনের মধ্যে নতুন বলে কে আমাদের উইকেটটেকার, মাঝখানে যে চার ফিল্ডার থাকবে সেখানে কোনো বোলার আমাদের প্রটেক্ট করতে পারবে বা উইকেট নিতে পারবে ওই রকম চিন্তা করেই আমরা আগাচ্ছি। আমি জানি না চমক কোনটা হবে তবে চেষ্টা করছি যেন পার্টিকুলার ডে তে রাইট কম্বিনেশনটা পিক করতে।’
জানা গেছে, মুমিনুল হকের এবারো কোনো সুযোগ নেই ওয়ানডে দলে। এ ব্যাটসম্যান টেস্ট স্পেসালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই থাকছেন। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩২ সদস্যের প্রাথমিক দলে থাকলেও ওয়ানডে দলে থাকছেন না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি বিসিএল খেলবেন দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান এবার নেই ৩২ সদস্যের দলে। তিনি বিসিএলে নেতৃত্ব দেবেন প্রাইমব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলকে।
দল সম্পর্কে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘টিমটা হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবো। প্ল্যানিং আমরা করছি। বেস্ট ১৫ হয়তো পেয়ে যাবো। তখন পরিকল্পনা করতে আরো সুবিধা হবে। আমরা তো জানি কারা খেলবে। ৮-১০ জন তো কনফার্ম আছে যারা খেলবে। কম্বিনেশন কী হবে সেটা প্রতিপক্ষ দেখে ঠিক করবো। শ্রীলঙ্কা জিম্বাবুয়ে টিম এখনো দেয়নি। ওদের দল কেমন হয় সেটিও ভাবতে হবে আমাদের।’ গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল। জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে তার পার্টনার কে হবেন? সৌম্য সরকার নাকি এনামুল হক বিজয়? সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে সৌম্যের দলে থাকার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই নেই। তার পরিবর্তে জাতীয় লীগে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো বিজয়ের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একটি সূত্রে জানা গেছে, বিজয় সুযোগ পেলে হয়তো খেলবেন প্রথম ওয়ানডেতেই। দারুণ ফর্মে আছেন ২ বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়া এ ক্রিকেটার। এছাড়াও দলে থাকছেন আরেক পরীক্ষিত ওপেনার ইমরুল কায়েসও। যাকে সাবেক কোচ হাথুরুনিসংহে ওপেনিং থেকে সরিয়ে তিনে খেলানোর পরীক্ষা চালিয়ে ছিলেন। এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম দলের হাল ধরবেন, রাখা হবে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও। এনসিএলে মাত্র ৫ রানের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি বঞ্চিত নাসির হোসেনও থাকবেন দলে। ওদিকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বড় জরিমানা গুনলেও সাব্বির রহমান রুম্মানের ক্রিকেট মেধার উপর আস্থা রাখছে বিসিবি। যে কারণে দলে সাব্বির থাকবেন এটাও নিশ্চিত।
অন্যদিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পেস আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে রুবেল হোসেনের থাকাও নিশ্চিত, রাখা হচ্ছে তরুণ পেসার সাইফউদ্দিনকেও। লঙ্কার বিপক্ষে পেস আক্রমণে গুরুত্ব দিয়ে দলে বাড়তি পেসার হিসেবে রাখা হতে পারে আবু জায়েদ রাহীকে। বিপিএলে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট সিলেটের এ তরুণের। এছাড়াও স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ থাকছেন নিশ্চিতভাবেই। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে দলে রাখা হতে পারে বিপিএলে দারুণ করা বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে। তবে শেষ পর্যন্ত অপুর পরিবর্তে সানজামুল ইসলামকেও দলে বিবেচনা করা হতে পারে। কারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি সানজামুলের ব্যাটিং সুবিধাটাও নিতে চাইবে দল। এছাড়াও রুবেল হোসেনকে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হতে পারে। আর আলোচনায় আছে আরিফুল হকের নামও। নতুন কারো সম্ভাবনা নিয়ে সুজন বলেন, ‘চমক থাকবে কিনা বলতে পারবো না। আমি বলেছি আমাদের প্রয়োজনে আমরা কম্বিনেশন সাজাবো। এক একটি প্লেয়ারের এক একটি স্পেসিফিকেশন আছে। এক একজন এক এক রকমের। তো ওই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী দল হবে। আপনি যদি ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেন, ওয়ানডে ফর্মটা হচ্ছে ১-১০ ওভার, ১১-৪০ ও ৪০-৫০ ওভার তিনটা পাওয়ার প্লে। প্রথম দশে দুইজন, পরেরটাতে ৪ জন ও পরেরটা ৫ জন। প্রথম দুইজনের মধ্যে নতুন বলে কে আমাদের উইকেটটেকার, মাঝখানে যে চার ফিল্ডার থাকবে সেখানে কোনো বোলার আমাদের প্রটেক্ট করতে পারবে বা উইকেট নিতে পারবে ওই রকম চিন্তা করেই আমরা আগাচ্ছি। আমি জানি না চমক কোনটা হবে তবে চেষ্টা করছি যেন পার্টিকুলার ডে তে রাইট কম্বিনেশনটা পিক করতে।’
জানা গেছে, মুমিনুল হকের এবারো কোনো সুযোগ নেই ওয়ানডে দলে। এ ব্যাটসম্যান টেস্ট স্পেসালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই থাকছেন। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩২ সদস্যের প্রাথমিক দলে থাকলেও ওয়ানডে দলে থাকছেন না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি বিসিএল খেলবেন দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান এবার নেই ৩২ সদস্যের দলে। তিনি বিসিএলে নেতৃত্ব দেবেন প্রাইমব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলকে।