দক্ষিণ সুনামগঞ্জে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের কুপে স্ত্রী গুরত্বর আহত
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ-
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পাষন্ড যৌতুক লোভী স্বামীর ধারালো অস্ত্রের কুপে এক সন্তানের জননী গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম মোছা: নার্গিস বেগম (২৫)। সে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাও ইউনিয়নের বড়মোহা গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি হাজ্বী জমসেদ আলী জায়গীরদারের মেয়ে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় পৌর শহরের মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকার যৌতুক লোভী স্বামী শরিফ উদ্দিনের বসতবােিড়তে ঘটনাটি ঘটে। বিগত প্রায় ২ বছর পূর্বে মোহাম্মদপুর এলাকা নিবাসী আশরাফ উদ্দিনের ছেলে শরিফ উদ্দিনের নিকট নার্গিস বেগমের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কয়েক মাস যেতে না যেতেই মেয়ের বাবার বাড়ি থেকে জায়গা জমি বিক্র করে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে শরিফ উদ্দিন। বিয়ের ২ বছরের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকা করে দুবার এনে দিয়েও মন পেল না স্বামীর। ঘটনার দিন সকালে শরিফ উদ্দিনের বাবা আশরাফ উদ্দিন ও ননদ শামসুন্নাহারের হুকুমে শরিফ উদ্দিন তার স্ত্রীকে এলোপাথারী মারপিট করে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় প্রায় দু ঘন্টা যাবৎ বসত ঘরে তালা বদ্ধ করে রাখে। পার্শবর্তী ধারারগাও গ্রামের বড় বোন মিছমা বেগম নার্গিসের বাড়িতে বেড়াতে এসে জানতে পারেন নার্গিস বেগমকে মারপিট করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তখন মিছমা বেগম স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পাসন্ড স্বামীর ভয়ে নার্গিস বেগম হাসপাতালে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বড় বোন মিছমা বেগম জানান নার্গিসের শশুড়ের কু পরামর্শে শরিফ উদ্দিন বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। আহত নার্গিস বেগম জানান বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী বেকার, শশুড়ের সংসারে বসবাস করি। প্রায় সময়েই আমার শশুর ও ননদ আমার স্বামীকে আমার অংশ বিক্রি করে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। স্বামীর কথামত আমি বাবার বাড়ি থেকে দুই কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি ব্যবসা করার জন্য । কিন্তু আমার স্বামী টাকা পেয়েই বাজে পথে খরচ করে ফেলে। টাকা শেষ হয়ে গেলেই আমারউপর নির্যাতন চালায়। এ ব্যপারে সদর মডেল থানার ওসি শহিদুল্লাহ খান জানান, অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।