দলে শৃংখলা ফেরাতে কঠোর আওয়ামী লীগ
৩ মার্চ শুক্রবার দৈনিক যুগান্তরে ‘দলে শৃংখলা ফেরাতে কঠোর আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিতে পাঠানো এ চিঠিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো পর্যায়ের কমিটি বিলুপ্ত না করা বা কাউকে বহিষ্কার না করার জন্য বলা হয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়াসহ দলের গঠনতান্ত্রিক নিয়ম যথাযথ অনুসরণ করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে এতে।
আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া পত্রিকাটির কাছে চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন।
বিপ্লব বড়ুয়া যুগান্তর-কে বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের শক্তি, সামর্থ্য এবং সংহতির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায় আওয়ামী লীগ। যে কারণে দলের নিয়ম ও গঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো যথাযথ অনুসরণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমতি ছাড়া কোনো ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা শাখার কমিটি ভাঙা বা বিলুপ্ত করা যাবে না। অথচ আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ইতিমধ্যে কোনো কোনো জেলা তাদের অধীনস্থ ওয়ার্ড/ ইউনিয়ন/ পৌর/ থানা/ উপজেলা/ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং কোনো কোনো এলাকায় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের কারণে যদি কাউকে বহিষ্কার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় দফতরে পাঠাতে হবে। কাউকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। এ কারণে তারা প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পাবেন। তবে স্বপদে বহাল থাকতে পারবেন না।
চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের বিভিন্ন শাখাকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে।
তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃণমূলে এ চিঠি পৌঁছেনি বলে ২ জেলার শীর্ষ নেতারা পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের এক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উত্তর-পূর্বের আরেক জেলার সাধারণ সম্পাদক জানান, তারা এখনও চিঠি হাতে পাননি।