দিরাইয়ে আ.লীগ নেতার উপর মিথ্যা মামলা’র প্রতিবাদ
দিরাই সংবাদদাতাঃ দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদারকে হত্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজ উদ দৌলা তালুকদারের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক বিকাশ রায়ের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা ছাদ উদ্দিন মিয়া, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আতাউর রহমান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক বিশ্বজিত রায় ভিপি বিশ্ব, যুবলীগ নেতা আব্দুল হক মিয়া, লালন মিয়া, কাউন্সিলর সবুজ মিয়া, যুবলীগের মোহন চৌধুরী, কামরুজ্জামান, পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদ সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিয়া রাহাত, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি আব্দুল হাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায় বিশু, ছাত্রলীগের সায়েল চৌধুরী, উজ্জল চৌধুরী, আল মামুন, সুহেল মিয়, মান্না তালুকদার লিমন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ তার বক্তব্যে বলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি চক্র গভীর ষড়যন্ত্র করছে। গত ৩নভেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অথচ একই সময়ে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ঘটিত একটি হত্যা মামালায় তাকে আসামী করা হয়েছে। একইভাবে গত জানুয়ারিতে উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের জারলিয়া জলমহালে জেলেদের সাথে সেখানকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে তিনজন লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রগমান তালুকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন রায় বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য একের পর এক হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে। পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে তারা বলেন, আওয়ামী লীগের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন না। কার ইশারায় কোন ধরণের মামলা ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামধন্য একজন আইনজীবির বাসা থেকে তিনজন নিরিহ লোককে ধরে নিয়ে আসলেন আমরা তা জানতে চাই। আমাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য না করার হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, অতি সত্তর ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নাম প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।