দুর্নীতি মামলায় কারাগারে লতিফ সিদ্দিকী
বগুড়ায় পাটক্রয় কেন্দ্রের জমি ইজারায় দুর্নীতির এক মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বগুড়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এই আদেশ দেন। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে বগুড়া বারের আইনজীবী আল মাহমুদ, নরেশ মুখার্জি ও হেলালুদ্দিন জামিনের জন্য আবেদন জানালে বিচারক তা সরাসরি নাকচ করে দেন। বগুড়া দুদকের আইনজীবী পিপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদমদীঘী উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় বিজেসির নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ক্রয়কেন্দ্রসহ দুই একর ৩৮ শতক জমি বিক্রি করতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি বিনা টেন্ডারে তার পূর্বপরিচিত জাহানারা রশিদের কাছে বিক্রি করেন। সরকারি অ্যাসেসমেন্ট অনুযাযী ওই সময়ের বাজার মূল্য ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকা। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বগুড়া দুদকের এডি আমিনুল ইসলাম ২০১৭ সালের ডিসেম্বর আদমদিঘী থানায় লতিফের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
পিপি আজাদ বলেন, মামলা তদন্ত শেষে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেয়। কয়েক বছর আগে হজ নিয়ে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারান লতিফ। পরে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন এবং সব শেষে দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। টাঙ্গাইল-৪ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ বছর তা পালন করেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলে তিনি দুই মন্ত্রণালয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দায়িত্ব পান। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই বিদায় নিতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান লতিফ সিদ্দিকী।