দোয়ারাবাজারে আলাউদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও সেনা গেজেট বাতিলের দাবি
bartaadmin
অক্টোবর ২৯, ২০২০
দোয়ারাবাজারে আলাউদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও সেনা গেজেট বাতিলের দাবি২০২০-১০-২৯T১৫:৫৫:৫৯+০০:০০
দোয়ারাবাজার উপজেলা, সর্বশেষ, সর্বাধিক পঠিত, স্থানীয সংবাদ
তাজুল ইসলাম,:: দোয়ারাবাজারে রাজাকারের নামে সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও বিশেষ সেনা গেজেট বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন উপজেলার সর্ববৃহৎ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে পরিণত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা রাজাকার আলা উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ ও বিশেষ সেনা গেজেট বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের বীরসিং গ্রামের মৃত গোলাম ফকিরের সন্তান আলা উদ্দিন একজন মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা যখন দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি, তখন রাজাকার আলাউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং পাক হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময়ে আলাউদ্দিন ও তার সহযোগীরা মিলে টেংরাটিলা ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে বীরসিং গ্রামের গোপাল চন্দ্র সরকারের বাড়িতে আক্রমণ করে তাকে গুলি করে হত্যা করে। গ্রামের আশপাশের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হঠাৎ করে সে আত্মগোপন করে চলে যায়। এর কয়েক বছর পর এলাকায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে হঠাৎ করে সে প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর বিশেষ গেজেটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে আলাউদ্দিন (সেনা ল্যান্স নায়েক) নামে মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ উত্তোলন করে।
মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, রাজাকার আলাউদ্দিনের সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রাপ্তির প্রতিবাদে এর আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগসহ, মানববন্ধন ও সভা সমাবেশ করা হলে তার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে আদালতের দারস্থ হলে সুনামগঞ্জের মাননীয় আদালত তাকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করেন। আমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। একটি স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় এবং দেশের মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকাকালে চিহ্নিত রাজাকার যখন মুক্তিযোদ্ধা বনে যায়, তার নামে যখন সরকারি সুযোগ-সুবিধা আসে তখন আমাদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়। অবিলম্বে ওই রাজাকার আলা উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ ও বিশেষ সেনা গেজেট বাতিল না করা হলে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা আমরণ অনশনে নামতে বাধ্য হবেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রহিম, অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, সাবেক জেলা ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, সাবেক অর্থ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রশীদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মনফর আলী, সাবেক অর্থ কমান্ডার আব্দুল খালেক, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক উমর আলী, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, দোহালিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিস আলী, বাংলাবাজার ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, লক্ষীপুর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আহমদ, নরসিংপুর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া, মান্নারগাঁও ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা প্রীতিশ চক্রবর্তী, সদর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর মিত্র, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা সোহেল আহমেদ মিন্টু, জসীম উদ্দীন, হোসাইন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, ওমর ফারুক, নুরুল হক, মাসুক প্রমুখ।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৬১ বার