তাজুল ইসলাম :: দোয়ারাবাজারে নড়বড়ে বাঁশের ভাঙ্গা সাঁকোই তিন ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের পারাপারের একমাত্র ভরসা। উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর বাজার সংলগ্ন মরা সুরমা নদীতে কোনো পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে ভাঙা সাঁকো দিয়েই প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর, উমরপুর, মাছিমপুর, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের চন্ডিপুর, ইদনপুর, শ্যামলবাজারসহ পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েক গ্রামের মানুষজন। এ দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। অপরদিকে উপজেলার সেরা বিদ্যাপীঠ দারুল হেরা দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়ণরত এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বই-পুস্তক কাঁধে ঝুঁলিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে আদিযুগের ওই ভাঙা সাঁকো। সেইসাথে নদীর দু’পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারীসহ সাধারণ মানুষজন সওদাপাতি এবং মালামাল মাথায় ও কাঁধে বহন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন।

ইতিপূর্বে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের সময় শিক্ষার্থীসহ এলাকার অনেকেই নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শুধু এতেই ক্ষান্ত নয়, উল্লেখিত মরা সুরমার উপর এযাবত কোনো ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার ব্যবসাবহুল শত বছরের ঐতিহ্যের স্মারক স্থানীয় মঙ্গলপুর বাজারটি ক্রমশ হারাতে বসেছে তার ব্যবসায়িক অতীত মর্যাদা।  এমতাবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে মঙ্গলপুর বাজার সংলগ্ন মরা সুরমার উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জোর দাবি জানান বহুল উপেক্ষিত ভুক্তভোগি এলাকাবাসী। দারুল হেরা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় মরা সুরমা নদীর উপর কোনো ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আলোচিত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।  জানতে চাইলে পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে ব্রিজ নির্মাণের লিখিত আবেদন করা সত্ত্বেও বিলম্বিত হচ্ছে। আশাকরি আবেদনটি আমলে নিয়ে যথাশীঘ্রই মরা সুরমা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn