দোয়ারায় ভিজিএফের চাল কম দেয়ার তদন্ত
দোয়ারাবাজারে ১নং বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল কম দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (০৩ জুন) দুপুরে দোয়ারাবাজার খাদ্যগোদামে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শফিউল আলম সরজমিন তদন্ত করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- অকাল বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকার ওই ইউনিয়নে ৫৭ টন চাল ও প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫শ’ পরিবার মাথাপিছু ৩৮ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে পাওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান প্রত্যেককে ৪-৫ কেজি করে চাল কম দিয়েছেন। উদ্বৃত প্রায় সাড়ে ৪২শ’ কেজি চাল সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করতে উদ্যত হলে সচেতন জনগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবর দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্বৃত চাল গোদামে রেখে দেন। ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের কৃষক শাহ আলম, কুশিউড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, কলাউড়া গ্রামের আয়ুব আলীসহ বিভিন্ন গ্রামের ভিজিএফ কার্ডধারী ব্যক্তিরা জানান- প্রত্যেককে গড়ে ৪ দশমিক ৭৫ কেজি চাল কম দেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন জানান- প্রায় সাড়ে ৪ টন চাল আত্মসাৎ করার সময় প্রশাসন আটক করলেও বিষয়টি এখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেনামে ভুয়া মাস্টার রোল তৈরি করে চেয়ারম্যান ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করেছে। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করেছেন। জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টার ভিজিএফের চাল কম দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন- কিছু লোকজন ওই দিন উপস্থিত না-হওয়ায় চাল উদ্বৃত হয়েছে। এগুলো ইউএনও মহোদয় খাদ্যগুদামে রেখে দেন।mএ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন- ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন বণ্টনের পর প্রায় সাড়ে ৪২শ’ কেজি চাল উদ্বৃত হয়েছে। চালগুলো আমার হেফাজতে গোদামে রেখে দিয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় তদন্ত করেছেন।