দোয়ারা-শালিকাকে নিয়ে দুলাভাই উধাও ৪ মাস পর আটক
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীকে মিথ্যা কথা বলে তালাকনামায় সই গ্রহণের পর শালিকাকে নিয়ে উধাও হওয়ার চার মাস পর পুলিশের হাতে আটক হয়েছে প্রতারক সাঈদ। চার মাস পুর্বে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ১৫ বছরের শালিকাকে নিয়ে উধাও হয় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাসাউড়া গ্রামের আক্রম আলীর পুত্র সাইদ আহমদ (২৫)। জানা যায়, সাঈদ আহমদ ২০১৫ সালে বিয়ে করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালীয়া ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা কন্যাকে। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। সে ব্যাংক হিসাবের গ্যারান্টার হওয়ার কথা বলে সাদা স্টাম্পে দস্তখত নেয় স্ত্রীর। পরে তাদের বাড়িতে এসে তার শ্বশুর শ্বাশুরীকে চাকুরি হয়েছে বলে ওই স্টাম্পে তাদের দস্তগত নেয়। পরে লম্পট সাঈদ সাদা স্টাম্পে তালাকনামা লিখে কোর্টে জমা দিয়ে শালিকাকে নিয়ে সুনামগঞ্জ তার আত্মীয়ের বাসায় বেড়ানোর কথা বলে গত বছরের ২৭ শে সেপ্টেম্বর উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্বশুর তার বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার ঢাকার নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার বালিপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করেন দোয়ারা থানার এসআই মঞ্জুরুল আলম। বৃহস্পতিবার দোয়ারা থানা থেকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সাইদের স্ত্রী বলেন, ‘আমি কোন তালাকনামায় দস্তখত দেইনি। সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে।’ দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশিল রঞ্জন দাস বলেন, ‘গত চার মাস ধরেই তারা পালিয়ে আত্মগোপনে ছিল। আমরা মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হই।’