(বাম থেকে ডানে) ইউক্রেনের পলাতক রাজনীতিবিদ ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ, তারেক জিয়া, মাদাগাস্কারের রাজনীতিবিদ মার্ক রাভালোমানানা।

নির্বাসিত রাজনীতিবিদদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবৈধ সম্পদের মালিক হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। বিতাড়িত, পলাতক কিংবা দণ্ড এড়াতে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্যদেশে দীর্ঘদিন বসবাসকারী রাজনীতিবিদদের অনেকের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সম্পদের মালিক ইউক্রেনের পলাতক রাজনীতিবিদ ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। ২০১৪ সালে তিনি পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২৫০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। ২০০৭ সাল থেকে তিনি নিজ দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্ট আছে। তাঁর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২২৫ কোটি ডলার। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন মাদাগাস্কারের রাজনীতিবিদ মার্ক রাভালোমানানা। ২০০৯ থেকে তিনি নিজ দেশ ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান করছেন।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট গঞ্জালো সানচেজ দো লোজাদা। ২০০৩ সাল থেকে তিনি বলিভিয়া থেকে বিতাড়িত। বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন মৌরাতোনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাওউয়া উলদ সিদ আহমেদ টায়া। তাঁর সম্পদে পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমানে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন। তিনি ২০০৫ সাল থেকে নির্বাসিত। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স তার গবেষণায় তারেক জিয়াকে ‘বহুমাত্রিক অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, এই তরুণ রাজনীতিবিদ কেবল আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গেই জড়িত না, সন্ত্রাসবাদেরও মদদদাতা । গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতির অন্তত ১৯টি মামলা বিচারাধীন আছে। তবে তাঁর বিপুল অবৈধ সম্পদ সম্পর্কে কোনো তদন্ত নেই। গবেষণায় বলা হয়েছে, এসব অবৈধ সম্পদ বেনামে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা। গোপন নথি পর্যালোচনা না করলে, কখনো জানা যাবে না, সম্পদগুলো তিনি কীভাবে পাচার ও বিনিয়োগ করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, কোনো বৈধ উৎস না থাকার পরও লণ্ডনে তারেক জিয়া বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স প্রক্কালন করে দেখেছে যে, লণ্ডনে প্রতিমাসে নূন্যতম ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ করেন। যা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খরচের চেয়েও বেশি। বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn