ধর্মঘট নয় শ্রমিকরা অবসরে গেছে: নৌমন্ত্রী
সারাদেশে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অঘোষিত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দেশের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। তবে শ্রমিকদের অঘোষিত কর্মবিরতিতে ধর্মঘট বলতে নারাজ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, ধর্মঘট নয় শ্রমিকরা কাজ করবেন না বলে স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জন দুর্ভোগের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এখানে ধর্মঘট কেউ ডাকে নাই। যেইটা জানা গেছে সেটা হলো, শ্রমিকরা অবসর নিয়েছেন, তারা কাজ করবে না।’ মন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মঘট নাই, এখানে তো শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। কোন ধর্মঘট তারা ডাকে নাই।’
গত রবিবার থেকেই খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলে আসছিল। ২০১১ সালে মানিকগঞ্জে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন সাজার প্রতিবাদে রোববার থেকে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় এ ধর্মঘট করে আসছিল চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা।পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবনে দুর্ভোগ
গত সোমবার প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা এলেও পরে শ্রমিকনেতারা এ কর্মসূচি বহাল রাখার কথা বলেন। সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার ট্রাকচালক মীর হোসেনের ফাঁসির রায় দেওয়া হয় ঢাকার আদালতে। এরপর রাতে মতিঝিলে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক বৈঠকে দেশব্যাপী এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর ফলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, গাজীপুর, যশোর, নড়াইল, কুষ্টিয়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়।
এতে রাজধানীতে আন্তঃপরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নানা পেশার কর্মজীবী মানুষ। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। যান চলাচলের অভাবে সময়মত গন্তব্যে পৌছাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে জনগণ।