নবীগঞ্জে বউ-শ্বাশুড়ি খুনের নেপথ্যে পরকীয়া!
নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বউ-শাশুড়ি। উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে লন্ডন প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী ও তার মা খুনের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। উভয় মরদেহের গায়ে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে রাত ব্যাপী তদন্ত করে নানা আলামত সংগ্রহ করেন। নিহতরা হচ্ছেন- উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসী মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ রুমি বেগম (২২) নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে আটকের খরব পাওয়া গেছে। পুলিশ পাঁচজনকে আটকের কথা স্বীকার করলেও বাকি ২ জনের কথা স্বীকার করেনি। এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটককৃত চারজন হচ্ছেন সাদুল্লাপুর গ্রামের ক্বারী আব্দুস সালাম (৬০), তার পুত্র শাহিদুর রহমান (৩৫), একই গ্রামের যুবক শুভ রহমান (৩০) ও আবু তালেব (২০)। পুলিশ বলছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের কাছে খুনের মোটিভ পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
নাম প্রকাশ না করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নারী ঘটিত ব্যাপার থেকে খুনের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। নিহত রোমির ফেসবুক আইডির সূত্র ধরে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহার তৈরির কাজ চলছে। রাতেই মামলা দায়ের হবে। তিনি নিহত রোমির মৃত্যূর ৩০ মিনিট পূর্বে ফেসবুকে এক বন্ধুকে ছবি লেনদেন করে। তাই তার ফেসবুকের ইনবক্সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ পাওয়া গেছে। তার সুত্রধরেই রোমির ঘনিষ্ট বন্ধু শুভ রহমানকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরকীয়া প্রেম থেকেই খুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। নবীগঞ্জ বাহুবল সার্কেল এসপি পারভেজ আলম বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের কাছাকাছি আছি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু এখন বলা যাবে না। এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রাতেই রের্কড করা হবে। হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, কোন নিরাপরাধ লোককে আসামী করা হবে না। নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে আসল অপরাধিদের বাহির করা হবে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস,এম আতাউর রহমান বলেন, খুনের ঘটনাটি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি এখনো কোন মোটিভ উদ্ধার হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমরা খবর পেয়ে রাতেই লাশ দুটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছি। আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমাদের ধারণা এখানেই খুনি রয়েছে। আশা করছি আজকে রাতের মধ্যে মূল মোটিভ উদ্ধার হবে। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, নারীঘটিত ব্যাপার থেকে খুনের সম্ভাবনা রয়েছে।