নাকবা: লন্ডনে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
অলিভ ফর প্যালেস্টেনিয়ান ইয়ুথ এর পক্ষে বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বৃটিশ-ফিলিস্তিনি হানেন খলিল। তিনি বলেন, যতদিন না ইসরাইল সকল বিতাড়িত ফিলিস্তিনিদের তাদের পূর্ব পুরুষের ভূখ-ে ফেরার অধিকার না দেবে ততদিন তাদের সঙ্গে সকল প্রকারের আলোচনা বন্ধ রাখা উচিত। শনিবারের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভের প্রতীক আহেদ আল-তামিমিও ছিলেন। ২০১৭ সালে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এক সেনাকে চড় মারার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আট মাসের কারাদ-ও দেয়া হয় তামিমিকে। তামিমি বিক্ষোভে বলেন, আমাদেরকে শিকারে পরিণত করা যাবে না! আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ট্রা¤প প্রশাসনের চুক্তির একটি খসড়া ফাঁস হয়েছে এক ইসরাইলি পত্রিকায়। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, ফিলিস্তিনিদের আলাদা রাষ্ট্র দেয়া হবে তবে এর প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকবে ইসরাইলই। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ যদি এ চুক্তি মেনে নিতে অস্বীকার করে তাহলে তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান বন্ধ করে দিবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যদি গাজা শাসন করা দল হামাস চুক্তিটি না মানে তাহলে গাজায় যুদ্ধ চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ চুক্তিটি মানবে না বলে জানিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলত। শনিবার এই চুক্তির বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেন বিক্ষোভকারীরা।
পিএফবি সভাপতি হাফিজ আল-কারমি এক বক্তব্যে যুক্তরাজ্য সরকারকে বালফোর ঘোষণা দেয়ার ভুল স্বীকার করতে আহ্বান জানিয়েছেন। ওই ঘোষণার পরই ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখ- থেকে বিতাড়িত করে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরাইল। পিএফবি’র এক মুখপাত্র আদনান হুমাইদান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইলের অপরাধ অগ্রাহ্য করে তাদের অস্ত্র দেয়া ও দখলীকরণকে সমর্থন করা বন্ধ করুন। তারা সাবা আবু আরারের মতো শিশুদের হত্যা করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক ইসরাইলি বোমা হামলায় প্রাণ হারায় এক বছর বয়সী শিশু সাবা মাহমুদ আবা আরার ও তার প্রসূতি মা।