নিউইয়র্কের আবাদি বাংলাদেশিরা অনাবাদি এলাকা বাসযোগ্য করছেন
ব্রুকলিনের ওজনপার্ক এলাকায় এক সময় দিন-দুপুরে যাওয়াকেও অনেকে নিরাপদ মনে করতেন না। বাংলাদেশিরা সেই এলাকাকেও পাল্টে দিয়েছেন। এখন গভীর রাতেও ওজনপার্ক জেগে থাকে। সড়কে নারী-পুরুষ একাকী হেঁটে বেড়ান। একইভাবে জ্যামাইকার লিবার্টি অ্যাভিনিউর চেহারাও পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশি অভিবাসীরা। ২০০৩ সালেও এলাকাটিতে চলাফেরা নিরাপদ ছিল না। দিনেই ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি হতো। বহু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে। আজ সেগুলো ইতিহাস। বিপদমুক্ত। বসবাসের আকর্ষণীয় ঠিকানা এখন জ্যামাইকার লিবার্টি অ্যাভিনিউ। শত শত বাংলাদেশি এখানে বাড়ির মালিক। ভাড়াটেরও অধিকাংশই বাংলাদেশি। গড়ে উঠেছে মসজিদ, যেখানে শত শত মুসল্লি শুক্রবারে একত্রিত হন। একই পরিবর্তন এসেছে ব্ রঙ্কসের পার্কচেস্টারে। যেদিকেই তাকানো যায় বাংলাদেশি মালিকানার দোকানপাট নজরে পড়ে। সব ধরনের দোকান। এসব দোকানের গ্রাহকের কাতারেও রয়েছেন বাংলাদেশিরা। রয়েছেন অন্য কমিউনিটির মানুষও।বাংলাদেশিদের উপস্থিতি যে শুধু নিউইয়র্ক নগরীর চেহারাই পাল্টে দিয়েছে, তা-ই নয়। নিউইয়র্ক নগরী থেকে ৪০০ মাইলেরও বেশি দূরে বাফেলো। এই তো ২০১০ সালেও এটা ছিল ভুতুড়ে এলাকা। আজ সেই এলাকাই বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে মুখরিত। বদলে গিয়েছে দৃশ্যপট। সঙ্গে রয়েছে নেপাল ও তিব্বত থেকে আসা অভিবাসীরাও। একইভাবে মিশিগানের ড্রেটয়েটসহ অন্যান্য পরিত্যক্ত বহু শহরকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন বাংলাদেশিরা। কোনো কোনো শহরের নগর সরকারে এখন বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। রীতিমতো ভোটের মাধ্যমে তাঁরা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। তাঁদের সন্তানেরা কোন উচ্চতায় উঠবে, তা সময়ই বলে দেবে। সম্ভাবনার দেশ আমেরিকায় বাংলাদেশিরা যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছেন, তা উৎসাহ ও উদ্দীপনার।