নিউইয়র্কে পিঠা উৎসব
পাটিসাপ্টা, ভাপাপিঠা, তেলেপিঠা, চিতইপিঠা, দুধ-পিঠা, ছানার সন্দেশ, পাকুনপিঠা, মাংশের পিঠা, নারিকেল পুলি, চুপতি পিঠা, ঝালপিঠা, ডালপাকন, ডালপুরি সহ ৩৫ রকমের পিঠায় আপ্যায়িত হলেন প্রবাসী বাঙালিরা। আর একইসাথে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারি বাঙালি প্রজন্মও পরিচিত হলো হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির সাথে। শীতের আমেজে বাঙালির এই ব্যতিক্রমী আয়োজন ঘটে ২৪ ডিসেম্বর রোববার নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে। সকল শ্রেণী ও পেশার প্রবাসীদের সম্মিলিত সহায়তায় ব্রঙ্কসের ‘রঙধনু সোসাইটি’র উদ্যোগে স্টার্লিং-বাংলাবাজার এলাকায় ‘গোল্ডেন প্যালেস’ মিলনায়তনে বর্ণিল এ আয়োজনে ঘরে তৈরী পিঠা এনেছিলেন আয়োজকরাই। নানান আকৃতি, স্বাদ আর রঙের এসব পিঠা পরিবেশন করা হয় অতিথিগণের মধ্যে। কোন মূল্য ছিল না। এ কারণে প্রাণে প্রাণে মিশে এ উৎসবটি প্রকৃত অর্থেই প্রবাসীদের এক অন্য রকম আনন্দ-তৃপ্তি দিয়েছে উৎসবটি এক পর্যায়ে সর্বস্তরের বাঙালি-প্রজন্মের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন ‘বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিল’র প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার। মোহাম্মদ মজুমদার এ প্রসঙ্গে এ সংবাদদাতাকে বলেন, ‘শেকড়ের সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত রাখতে এমন আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা মাঝেমধ্যেই বাঙালির ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন পর্বের আয়োজন করে থাকি ব্রঙ্কসে। তবে রঙধনুর এ আয়োজনের মধ্যে সকলকেই বেশ প্রাণবন্ত মনে হচ্ছে।’ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন পলাশ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিঠা উৎসব কমিটির সদস্য-সচিব সরকার আব্দুল মতিন। উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ইসলাম দিলসাদের সভাপতিত্বে এবং রেজা আব্দুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি এ ইসলাম মামুন, পার্কচেস্টার ব্রঙ্কস রিয়েলিটির প্রেসিডেন্ট সালেহ উদ্দিন সাল, কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মো. তোফাজ্জল হোসেন, বখতিয়ার রহমান খোকন, মো. ইকবাল হোসেন, সাদিকুর রহমান, তাসলিমা আহমেদ, উদযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য-সচিব দরবার সফিক, আল মামুন সরকার, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মতিন সরকার, খোরশেদ আলম প্রমুখ। এ পিঠা উৎসবের আমেজে ছিল যাদু প্রদর্শণী এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণা তিথী, আফজাল হোসেন ও সুমন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গভীর রাত পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক দর্শক-শ্রোতা মনোজ্ঞ এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।