নিউ ইয়র্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তনয়ের এপার্টমেন্ট নিয়ে তোলপাড়
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর নিউ ইয়র্কের আফতাব টাওয়ারের ১২টি এপার্টমেন্ট ও ৪টি পার্কিং স্পটের মালিক । এ নিয়ে ভবনের নিচতলায় অবস্থিত মসজিদ মিশন সেন্টার নামক একটি মসজিদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিখ্যাত নির্মাতা জহিরুল ইসলামের ভাই আজহারুল ইসলাম ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাতে আফতাব টাওয়ার নির্মাণ করেন। এই ভবনে ২৪টি এপার্টমেন্ট ও বেইসমেন্ট রয়েছে। এর অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি এপার্টমেন্টের মালিক হচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর। একই ভবনের নিচে অবস্থিত মসজিদ মিশনের কর্মকর্তা মাওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল মসজিদের জন্য বেইসমেন্ট। তবে, মসজিদে মুসল্লি সমাগমের কারণে পানি সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে তিনি মামলা ঠুকেছেন ম্যানেজমেন্ট ও মসজিদের বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে, জ্যামাইকাতে তমাল মনসুরের আরো দুটি বড় বড় প্রোপার্টি রয়েছে। যেখানে এখন নির্মাণ কাজ চলছে। উল্লিখিত দুই প্রোপার্টিতে এপার্টমেন্ট নির্মাণের কাজ চলছে। এখানে কোনো বাংলাদেশি নির্মাণ কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়নি। গায়ানিজ একজন কন্ট্রাক্টর এই ভবনগুলোতে এপার্টমেন্ট তৈরির কাজ করছেন বলে জানা গেছে। নিউ ইয়র্কে সম্পত্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের সঙ্গে রোববার (২০ মে) ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমার সম্পদ আছে কি নেই এটা অন্য কারো বিষয় হতে পারে না। একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জ্যামাইকার আফতাব টাওয়ারে তার কোনো এপার্টমেন্ট আছে কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে এটাকে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন।
উল্লিখিত বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে দায়েরকৃত মামলার ইনডেক্স নং ৭০৬৯৪৮/২০১৮। মামলার তারিখ মে ৩, ২০১৮। আর এই মামলার বাদী হচ্ছেন লেমবডা প্রোপ্রার্টিজ ইনক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তমাল মনসুর এফিডেভিটের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে মামলাটি পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে আফতাব স্কাইভিউ কনডোমোনিয়াম, বোর্ড অব ম্যানেজারর্স অব আফতাব কনডোমোনিয়াম, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি আলী, আব্দুল মালেক, মির্জা রেজওয়ান ও মসজিদ মিশন সেন্টার ইনক। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে বাদী আফতাব টাওয়ারের ১২টি বাণিজ্যিক এপার্টমেন্টের মালিক। যার মধ্যে আছে এপার্টমেন্ট ২এ থেকে ৪ডি এবং ৪টি পার্কিং স্পেস। যার মধ্যে আছে পিএস১, পিএস২, পিএস৩ এবং পিএস৪। উল্লেখ্য, আফতাব স্কাইভিউতে ২৪টি এপার্টমেন্ট, দুটি কমিউনিটি সেন্টার ও ১৩টি পার্কিং স্পট রয়েছে। মামলার আর্জিতে কনডোমোনিয়াম বোর্ড গঠনের বিভিন্ন নিয়মাবলী উল্লেখ করে এর বেইসমেন্টের দুটি কমিউনিটি সেন্টারের স্পেস মসজিদ মিশন মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করা হয়। আর্জিতে বলা হয়, মুসল্লিদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সিটির অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আইন বার বার ভঙ্গ করেছে কথিত মসজিদটি। এভাবে ৮৬ জনের জায়গায় সেখানে শত শত মুসল্লির সমাবেশ ঘটে নামাজের সময়। এর ফলে মুসল্লিদের ওজু করার কারণে প্রচুর পানি খরচ হচ্ছে। এরফলে কনডোমোনিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত পানির চাইতে অনেক বেশি পানি ব্যবহৃত হচ্ছে মৃসল্লিদের ওজুর কারণে।
এ বিষয়ে অফতাব টাওয়ার ম্যানেজমেন্টদের পানির প্রতিকার বিষয়ে বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো লাভ হয়নি। এর ফলে সিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই ভবনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভায়োলেশন মামলা করেছে। যার কোনো প্রতিকার ম্যানেজমেন্ট বোর্ড না করার কারণে দরপতন ঘটেছে মামলার বাদী তমাল মনসুরের এপার্টমেন্ট সমূহের। ফলে বাদী তার ভাড়ার আয় ছাড়াও প্রোপার্টির সঠিক বাজার মূল্য পাচ্ছেন না। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সার্টিফিকেট অব অকুপেন্সি মেনে চলতে হবে মসজিদটিকে। এ ছাড়াও আরো অনেক অনিয়মের বিষয় আছে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে। আইন ভঙ্গ, উন্নাসিকতা, অবেহলা ও উপেক্ষার কারণে বাণিজ্যিক এই ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ একটি দুরুহ বিষয়। তারপরও বলা যায় উল্লিখিত কারণসমূহের জন্য বাদী তমাল মনসুরের ১২টি এপার্টমেন্ট বাজার দরের চেয়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ ডলারের দরপতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি পার্কিং স্পটের দাম কমেছে কমপক্ষে ৪০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ২০ হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে ইমেজ নষ্টের কারণে। মামলায় এসবের প্রতিকার কামনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কনডোমোনিয়াম বোর্ড ম্যানেজমেন্টের অন্যতম কর্মকর্তা এবং মসজিদ মিশনের প্রধান মওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তমাল মনসুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। এই হিসেবে বাংলাদেশিদের একটি মসজিদের বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নেবেন এটা আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। এখন এই মামলার অন্যতম কারণ হচ্ছে তার সম্পদের খবর যাতে কোনোভাবেই কেউ ফাঁস করতে না পারে এজন্য তিনি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরাও আইনের মাধ্যমেই এর জবাব দেবো। হাফেজ রফিকুল ইসলাম বলেন, তমাল মনসুরের ১২টি নয়, আরো অনেক প্রোপ্রার্টি আছে। বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর ছেলে এতো সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন তা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে।
উল্লিখিত বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে দায়েরকৃত মামলার ইনডেক্স নং ৭০৬৯৪৮/২০১৮। মামলার তারিখ মে ৩, ২০১৮। আর এই মামলার বাদী হচ্ছেন লেমবডা প্রোপ্রার্টিজ ইনক নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তমাল মনসুর এফিডেভিটের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে মামলাটি পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে আফতাব স্কাইভিউ কনডোমোনিয়াম, বোর্ড অব ম্যানেজারর্স অব আফতাব কনডোমোনিয়াম, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি আলী, আব্দুল মালেক, মির্জা রেজওয়ান ও মসজিদ মিশন সেন্টার ইনক। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে বাদী আফতাব টাওয়ারের ১২টি বাণিজ্যিক এপার্টমেন্টের মালিক। যার মধ্যে আছে এপার্টমেন্ট ২এ থেকে ৪ডি এবং ৪টি পার্কিং স্পেস। যার মধ্যে আছে পিএস১, পিএস২, পিএস৩ এবং পিএস৪। উল্লেখ্য, আফতাব স্কাইভিউতে ২৪টি এপার্টমেন্ট, দুটি কমিউনিটি সেন্টার ও ১৩টি পার্কিং স্পট রয়েছে। মামলার আর্জিতে কনডোমোনিয়াম বোর্ড গঠনের বিভিন্ন নিয়মাবলী উল্লেখ করে এর বেইসমেন্টের দুটি কমিউনিটি সেন্টারের স্পেস মসজিদ মিশন মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে উল্লেখ করা হয়। আর্জিতে বলা হয়, মুসল্লিদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সিটির অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আইন বার বার ভঙ্গ করেছে কথিত মসজিদটি। এভাবে ৮৬ জনের জায়গায় সেখানে শত শত মুসল্লির সমাবেশ ঘটে নামাজের সময়। এর ফলে মুসল্লিদের ওজু করার কারণে প্রচুর পানি খরচ হচ্ছে। এরফলে কনডোমোনিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত পানির চাইতে অনেক বেশি পানি ব্যবহৃত হচ্ছে মৃসল্লিদের ওজুর কারণে।
এ বিষয়ে অফতাব টাওয়ার ম্যানেজমেন্টদের পানির প্রতিকার বিষয়ে বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো লাভ হয়নি। এর ফলে সিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই ভবনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভায়োলেশন মামলা করেছে। যার কোনো প্রতিকার ম্যানেজমেন্ট বোর্ড না করার কারণে দরপতন ঘটেছে মামলার বাদী তমাল মনসুরের এপার্টমেন্ট সমূহের। ফলে বাদী তার ভাড়ার আয় ছাড়াও প্রোপার্টির সঠিক বাজার মূল্য পাচ্ছেন না। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নতুন ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সার্টিফিকেট অব অকুপেন্সি মেনে চলতে হবে মসজিদটিকে। এ ছাড়াও আরো অনেক অনিয়মের বিষয় আছে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে। আইন ভঙ্গ, উন্নাসিকতা, অবেহলা ও উপেক্ষার কারণে বাণিজ্যিক এই ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ একটি দুরুহ বিষয়। তারপরও বলা যায় উল্লিখিত কারণসমূহের জন্য বাদী তমাল মনসুরের ১২টি এপার্টমেন্ট বাজার দরের চেয়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ ডলারের দরপতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি পার্কিং স্পটের দাম কমেছে কমপক্ষে ৪০ হাজার ডলার এবং এক লাখ ২০ হাজার ডলারের ক্ষতি হয়েছে ইমেজ নষ্টের কারণে। মামলায় এসবের প্রতিকার কামনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কনডোমোনিয়াম বোর্ড ম্যানেজমেন্টের অন্যতম কর্মকর্তা এবং মসজিদ মিশনের প্রধান মওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তমাল মনসুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। এই হিসেবে বাংলাদেশিদের একটি মসজিদের বিরুদ্ধে তিনি অবস্থান নেবেন এটা আমরা চিন্তাই করতে পারিনি। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। এখন এই মামলার অন্যতম কারণ হচ্ছে তার সম্পদের খবর যাতে কোনোভাবেই কেউ ফাঁস করতে না পারে এজন্য তিনি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরাও আইনের মাধ্যমেই এর জবাব দেবো। হাফেজ রফিকুল ইসলাম বলেন, তমাল মনসুরের ১২টি নয়, আরো অনেক প্রোপ্রার্টি আছে। বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর ছেলে এতো সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন তা যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে।
বাংলা পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তমাল মনসুর বার বার বলেন, আপনারা যা বলছেন তা সঠিক নয়। কোনটি সঠিক নয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যে আইনজীবী মামলা করেছেন তার কাছে প্রশ্ন করুন। তিনি বলেন, আমার সম্পত্তির বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের আই আর এস জানে। আমি বিগত ১৫ বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ সিটিজেন। অন্য কোনো লোককে কোনো কথা বলতে আমি বাধ্য নই। একজন মন্ত্রীর ছেলে হিসেবে বিশাল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে আমার পারিবারিক বিষয়টিকে কেন আনা হচ্ছে। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা কেন এমন প্রশ্ন তুলছে এটা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন। নিজের ১২টি এপার্টমেন্ট আছে কি না জানতে চাইতে তিনি এ বিষয়ে হ্যাঁ বা না সরাসরি উত্তর না দিয়ে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে মন্তব্য করেন।
উল্লিখিত এপার্টমেন্ট সমূহের দাম জানতে চাইলে একজন রিয়েল এস্টেট ব্রোকার বাংলা পত্রিকাকে বলেন, এখানে এখন প্রতিটি এপার্টমেন্টের দাম হচ্ছে কমপক্ষে চার লাখ ডলার। এই হিসেবে ১২টি এপার্টমেন্টের দাম ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে পার্কিং লটের দাম না হয় বাদই দিলাম। অপরদিকে মসজিদ মিশন সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলার ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে গত ১৬ই মে বুধবার তারাবির নামাজের সময় মামলার বিষয়টি মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসল্লিদের দৃষ্টিগোচরে আনলে উপস্থিত মুসল্লিরা আইনগত প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। এ ছাড়াও গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময়ও এ ঘটনার ব্যাপারে মুসল্লিারা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।