বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন চরমভাবে ব্যর্থ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। গতকাল বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে দখল করে নেয় এবং তারা তাদের মতো করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা চলে গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোরও আস্থা চলে গেছে। নির্বাচনকালীন সরকারে যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে তাহলে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের জন্য আওয়ামী লীগই একসময় তাদের দাবি পেশ করেছিল এবং ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। তারাই আবার যখন দেখেছে কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের অধীনে নির্বাচন যদি হয়, তাহলে তাদের পক্ষে আর ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব হবে না, তখন তারা সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যাবতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন নিয়মকানুন তৈরি করে একটি নির্বাচন দিতে হবে। তখনই শুধুমাত্র এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। জাতীয় ঐক্য গঠনে আমরা কাজ করছি, আমরা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলছি, এই কথাবার্তা বলার পরে যখন সময় হবে তখন আমরা আপনাদের জানাবো। মির্জা ফখরুল আরও জানান, সার্চ কমিটিতে যাকে প্রধান করা হয়েছে তিনি নিজে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তার পিতা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য ছিলেন। তার ভাই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন সুতরাং তার কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করার কোনো কারণ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আগেই বলেছি সার্চ কমিটি মানি না। আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা সরকারের ফলস ইস্যু। আসল ইস্যু হচ্ছে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অজস্র গুম খুন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে যা এখন কেবল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতই নয়, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন হস্তক্ষেপ শুরু করে র?্যাব ও তার প্রধানকে নিষিদ্ধ করেছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn