‘নেত্রীর নির্দেশেই আগামী নির্বাচনের জন্য মাঠে আছি’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য বর্তমান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপি বলেছেন, নেত্রী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন এবং প্রতিটি এলাকায় জনসাধারণের সাথে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে নির্দেশ করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে তিনি আবার নৌকা নিয়ে আসবেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গত ৮বছরে যতই উন্নয়ন করেছি; তা আপনাদের দেখা ও জানা। আপনারা আবার আমাকে ভোট দিয়ে আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এটাই বিশ্বাস করি। সরকার প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে দেশের উন্নয়ন গতিশীল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লামা টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘অনুষ্ঠিত মা ও অভিভাবক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইলাছ আহমদের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম মশাহিদ ও জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মাসুম আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সেক্রেটারি আবুল হোসেন লালন, সহ-সভাপতি এম. ফজলুর রহমান, সাইফুল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না, উপজেলা যুবলীগ নেতা ফারুক মিয়া, শফিক মিয়া, আকমল হোসেন ভূঁইয়া, আবু জিলানী আবু, তোরণ মিয়া, মিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি সাজাদ খাঁন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফরোজ ইসলাম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক রুমেন আহমদ, সহ-সভাপতি আজমল হোসেন মিটু, আব্দুল মমিন নাসির, মাহবুব আহমদ, মুহিবুর রহমান রাসেল, তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম-সম্পাদক খলিক কামালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন জসিম, প্রচার সম্পাদক সজীব রায় দূর্জয়, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্না মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক টুটুল ধর, কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জুনায়েদ আহমদ জুনেদ, উপ প্রচার সম্পাদক সুমলে আহমদ, মিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আফরোজ আলীসহ দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মীসহ হাজারে উর্ধ্বে জনসাধারণ।
এসময় প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান ‘ তথ্য প্রযুক্তির যুগে ছেলে-মেয়েকে ইন্টারনেট থেকে বিরত রাখতে উপস্থিত মা ও অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকটি কাজের ভালো ও মন্দ দিক আছে। কিন্তু মন্দ দিককে পরিত্যাগ করতে হলে ইন্টারনেট ত্যাগ করার প্রয়োজন। যদিও ইন্টারনেট শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে ভালো ও শিক্ষণীয় দিক যাতে ব্যবহার করে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তারা (শিক্ষার্থীরা) মন্দ দিক গ্রহণ করলে জাতি তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করতে পারবেনা। জাতি ও নিজের জন্য সর্বদিকে পিতা-মাতাকে সন্তানদের নজরদারীতে রাখা প্রয়োজন। তখনই জাতি উপকৃত হবে। জাতি উপকৃত হলে আপনি উপকৃত হবেন।’ শিক্ষা বিস্তারে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ সরকারে আমলে ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্টান ২০১০সালে এমপিও ভূক্ত হয়েছে। আগামীতেও পর্যায়ক্রমে হবে। বর্তমান সরকার বছরের প্রথম দিনে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছে এবং ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোয় এনে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। উপবৃত্তিসহ সকল ধরনের শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে।’ তিনি সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারকে ভোট দিতে সর্বস্তরের জনসাধারণকে আহ্বান জানান।