পদ্মাসেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ
পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন বা কমিটি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৭ মে’র মধ্যে তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০ মার্চ সোমবার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে কমিশন বা কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করা হয়। রুলে স্বরাষ্ট্র, আইন, মন্ত্রিপরিষদ ও যোগাযোগ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতেও বলা হয়। একই সঙ্গে এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে তদন্ত শুরু করে বিশ্বব্যাংক। তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) অনুরোধ জানায় এবং সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। পরে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
২০১৪ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার। গত মার্চে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পদ্মা সেতুর নদীর শাসনের কাজ করছে সিনো হাইড্রো করপোরেশন। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি মূল সেতুর নির্মাণকাজ করছে। এদিকে, বিশ্বব্যাংকের অনুরোধের ভিত্তিতে কানাডার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় আরসিএমপি। ২০১২ সালে মোহাম্মদ ইসমাইল ও রমেশ শাহকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে কেভিন ওয়ালেস ও বাংলাদেশি কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়াকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি আদালতের এক রায়ে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পায় ওই তিনজন।