বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বললেন, যমুনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর যখন বিএনপি উদ্বোধন করে তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সারাদেশে হরতাল ডেকেছিলেন। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো হরতাল কোনো বিবৃতি দেয়নি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে সব দুর্নীতি, অপর্কম ঢাকার চেষ্টা করছে সরকার। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি এই সব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে বিএনপি মাথা ঘামাচ্ছে না, কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যদি ফেরাশতাও হয় এবং নির্বাচন কমিশনের ৫ জন যদি বিএনপি পন্থিও হয় তারপরও মানুষ নিজের ভোট দিতে পারবে কি না সেটা নিয়েও সন্দিহান আমরা।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাইকার প্রস্তাবে পদ্ধা সেতুর বাজেট ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলছিলেন ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজটা সম্পূর্ণ করতে হবে। এখন ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে পদ্মা সেতুর খরচটা হিসাব করেন, সুতারাং পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল প্রমুখ।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৩৫ বার