পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ঘিরে অত্যন্ত ব্যস্ততার সাথে আনন্দঘন পরিবেশে, প্রাণোচ্ছলতার সাথে কেটেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ। শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর উপজেলা, এমনকি জেলার অন্যান্য উপজেলার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ঈদের আগে-পরের পুরোটা সময় লোকারণ্য ছিল পরিকল্পনামন্ত্রীর শান্তিগঞ্জের বাস ভবন হিজল বাড়ি। মন্ত্রীর বাড়িতে উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। সাধারণ মানুষ, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তাদের প্রিয় নেতার সাথে, জানিয়েছেন দাবিদাওয়া। এসময় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শান্তিগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন ছিল অত্যন্ত তৎপর।
জানা যায়, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শান্তিগঞ্জে আসেন এবং সকাল ১১টায় পাগলা এলাকায় বোরো ধান কর্তন উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দান করেন। বিকালে নিজের বাস ভবনেই ছিলেন। সেখানে তার সাথে দেখা করতে হাজারো নেতাকর্মী ভিড় করেছিলেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান, শুক্রবার শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী মান্নান। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সমস্ত ব্যস্ততা ছিল পরিকল্পনামন্ত্রীকে ঘিরেই। ঈদের দিন শনিবার সুনামগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন মন্ত্রী। সেখানে সামরিক, বেসামরিক, দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে বিকালে নিজ বাস ভবনে ফিরেন মন্ত্রী। এখানে ছিল নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হিজল বাড়িতে গেলে দেখা যায়, মন্ত্রীর পড়নে লুঙ্গি আর একটি সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি। অসাধারণ একজন মানুষ সাধারণ ভাবে বসে আছেন হিজল বাড়ির আরফান আলী বৈঠক খানায়। তার পাশে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসনাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এসময় দিরাই উপজেলার বেশ কিছু নেতা-কর্মী পরিকল্পনামন্ত্রীকে ঘিরে রেখেছেন। তারা তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছেন। মন্ত্রী শুনছেন। এমন সময় এক রঙের পাঞ্জাবি পড়া দশ-বারোজন নেতা কর্মী প্রবেশ করেছেন মন্ত্রীর আরফান আলী বৈঠক খানায়৷ পর্যায়ক্রমে উপস্থিত নেকা-কর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মন্ত্রীর সাথে। তুলেছেন ছবিও। এভাবেই পরিকল্পনামন্ত্রী এম ও মান্নানকে ঘিরে প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কেটেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী পরিবারের ঈদ।
মাদ্রাসা শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ। মন্ত্রী মহোদয়ের কথা শুধু শুনি। অনেক উন্নয়ন করেছেন তিনি। এলাকায় ও সারা দেশে তার অনেক সুনাম। মাঝে মাঝে টিভিতে তাকে দেখি। অনেক দিনের ইচ্ছা তার সাথে দেখা করবো। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে সুযোগ করে তার সাথে দেখা করেছি। সালাম দিয়েছি। হাত বাড়াতেই তিনি মোছাফা করেছেন। খুবই আন্তরিক মানুষ তিনি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের একান্ত রাজনৈতিক সচিব উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাসিত সুজন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছদরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা, রাজনৈতিক অভিভাবক এম এ মান্নান স্যারকে সব সময় পাওয়া যায় না। এবারের ঈদে পাঁচ দিন তাকে আমরা পেয়েছি। নেতা-কর্মীরা তার সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। দাবিদাওয়ার কথা বলেছেন। ছবি উঠেছেন। অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেও দেখা করেছেন। মন্ত্রী মহোদয় খুব আন্তরিকতার সাথে সকলের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেছেন। কথা বলেছেন। আমাদের এবারের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে। মন্ত্রীকে ঘিরে প্রাণোচ্ছলভাবে কেটেছে আমাদের ঈদ।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৪৪ বার