জরুরি প্রয়োজনে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, পরিবহনসহ যেকোনো সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা’ ঘোষণা করতে পারবে সরকার। ‘অত্যাবশ্যক’ ঘোষণার পর সেখানে ধর্মঘট ডাকা যাবে না, মালিকরাও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারবে না। তা না মানলে দণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন করছে সরকার। ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন, ২০২১’ নামে এ আইনের খসড়ায় সোমবার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এতে সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার কোনো সময় জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন সেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করতে পারবে। অত্যাবশ্যক ঘোষণার পর কর্মীরা বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকতে পারবে না, মালিকরা কারখানা বন্ধও করতে পারবে না, লে-অফও করতে পারবে না।’
কোন কোন সেবা এর আওতায় থাকবে তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল, ডিজিটাল আর্থিক সেবাসহ যেকোনো ডিজিটাল সেবা, বিদ্যুৎ উপাদন ও সরবরাহ, জল, স্থল ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিমানবন্দর পরিচালনা, স্থল ও নদীবন্দর পরিচালনা, কাস্টমসের মাধ্যমে কোনো পণ্য ও যাত্রীর পণ্য ছাড় করার কাজ, সশস্ত্র বাহিনীর কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম, প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম, খাদ্যদ্রব্য ক্রয়, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম ইত্যাদি। সরকার কোনো কারণে এগুলোকে অত্যবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। ‘এই ঘোষণা সর্বোচ্চ ৬ মাসের জন্য হবে।’
ধর্মঘট ডাকলে কী সাজা
আইন অমান্য করলে দণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ ধর্মঘট করলে তাকে বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন ভাঙলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। মালিক ভাঙলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হবে। কেউ আইন ভাঙতে প্ররোচিত করলে এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১০৯ বার