পাওয়া না পাওয়ার আর্তনাদoooo
রুবিনা ইমাম (ফেসবুক স্টেটাস থেকে)
আজকাল অনেকের ব্রেন্ড নেইমের লেবেল আটা দেখে ছোটবেলার পড়া শেখ সাদির গল্পটা খুব মনে পরে!!!যেখানে তার চাইতে তার ঝলমলে পোশাককে বেশী মূল্য দেয়া হয়েছিল। আমরা অনেকেই নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে আকর্ষিত করার চেষ্টা না করে, নামীদামী ব্রেন্ডের লেবেল লাগিয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে ভালবাসি। যার গায়ে যতবেশী দামী লেবেল, সে ততবেশী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি । আগে খদ্দরের চাদর আর পিনপিনে সাদা পাঞ্জাবি ছিল আকর্ষণীয় পুরুষের পোশাক। আর এখন জিন্স, টি-সার্ট, কানে দুল, হাতে বালা পরা পুরুষরাই আমাদের কাছে আকর্ষণীয়। হোক না সে মাকাল ফল। এখন সুখের সংজ্ঞাও পাল্টে গেছে। মেয়ের গায়ে ঝলমলে গহনার বাহার দেখে তার সুখের পরিমাপ নির্ণয় করেন অনেকে। বরের দেয়া গোলাপ বা রজনীগন্ধায় আমাদের মন ভরে না। হীরার গহনা না হলে কি বন্ধুদের কাছে মান থাকে?? আগে দেখেছি মা-চাচীরা দু’ঈদে দুটু সুতির শাড়ি হাতে নিয়ে কি তৃপ্তির হাঁসি দিতেন। আর আমাদের এখন কত উৎসব- ভালবাসা দিবস, জন্মদিন, বিয়ের দিন আরো কত…। বরের উপহারের ব্রেন্ডের নাম দেখে তার ভালবাসার যাচাই হয়, বেচারা।
পরিবারের জন্য নিজ হাতে রান্না করা বড় সেকেলে! !বাইরে গিয়ে খাওয়াটাই আধুনিকতার পরিচয়!!!হাত পুড়িয়ে কম লবন, বেশী ঝাল দিয়ে আনাড়ি হাতের রান্নায় কেউ সুখ খুঁজে না বা খুঁজে পায় না। মধ্যবিত্ত পরিবারে আগে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও, ভালবাসা ফুরাতো না। বছরে ১টা কাপড় পেলেও এর কদর ছিল অনেক। আমাদের চাহিদা যত বাড়ছে, সুখটা আমাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে!! কোন পাওয়াতেই আমরা তৃপ্তি পাই না!!! সবকিছুতেই না পাওয়ার আর্তনাদ…