পোশাক খাতে ব্যয় বেড়েছে, কমেছে কর্মসংস্থান
দেশের তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড লেবার স্টাডিজ’র এক সেমিনারে একথা জানান তিনি। সেমিনারে গার্মেন্টস শিল্পের মানোন্নয়নে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। বাংলাদেশ সরকার, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, দেশের অর্থনীতিতে আরএমজি সেক্টরের অবদান, আইএলও-বিজিএমইএ-বিকেএমইএসহ অন্যান্য রেগুলেটরি সংস্থাগুলোর ভূমিকা, শ্রমিকবান্ধব শিল্প সমাজের প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বক্তারা। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, গত দুই বছরে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে গার্মেন্ট সেক্টরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আর গত চার বছরে প্রায় ১২০০ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে মধ্যআয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। পোশাক খাতে দক্ষ ও যোগ্য জনবল তৈরিতে খাত উপযোগী কোর্স কারিকুলাম প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, পোশাক খাতে দক্ষ ও যোগ্য জনবল তৈরিতে খাত উপযোগী কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। এই সেক্টরে যেভাবে প্রয়োজন, সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের অতীতসহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. তানিয়া রহমান বলেন- শ্রমিকদের সমস্যা, মালিকপক্ষের সমস্যা-সেগুলো জানা এবং সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় করার জন্যই এই সেমিনার জরুরি। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড লেবার স্টাডিজ’ প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। এতে বক্তব্য রাখেন বিএলএমইএর সভাপতি সিব্বির মাহমুদ এবং সোনালী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আলী হোসেইন শিশির।