প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ১১ জনকে যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করায় মামলায় ফ্রিডম পার্টির ১১ নেতাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর হুমায়ুন কবির ওরফে কবির নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফ্রিডম পার্টির ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর হুমায়ুন কবির ওরফে কবির নামে একজনকে খালাস দেন আদালত। দুপুর ১টার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামি লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, জাফর আহম্মদ ওরফে মানিক ও হুমায়ুন কবির আদালতে আত্মসমর্পণ করা কিংবা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সময় হতে তাদের সাজার মেয়াদ শুরু হবে।এ মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, খন্দকার আমিরুল ইসলাম, গাজী ইমাম হোসেন, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির। গত ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মোট ১৯ বার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে হামলার মামলাটিতে এই বছরই রায় হয়। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। তদন্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নেতৃত্বে গঠিত দল ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসে। ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।