‘প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণই এখন বেঁচে থাকার সম্বল’
প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ নিতে আসা শাল্লা উপজেলার গুংগিয়ার গাঁও গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা মেঘমালা (২৮) বলেন, ভোর থেকে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণই এখন বেঁচে থাকার সম্বল। একই এলাকার আছিরন খাতুন (৫৫) বলেন, স্থানীয় ছায়ার হাওরে ছয় কিয়ার (৩০ শতাংশে এক কিয়ার) জমি করেছিলাম। পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন সন্তানদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে। এছাড়াও উপজেলার মোহনকলি গ্রামের প্রতিবন্ধী নিরেশ দাস, ভাটগাঁও গ্রামের মমিনা আক্তারের মতো হাজার হাজার কৃষক এখন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী সনৎ দত্ত বলেন, আজ ২০জন কৃষকের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দিনভর ৭০০কৃষকের হাতে ত্রাণ তুলে দিবেন স্থানীয় প্রশাসন। তিনি জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ১৩০ জনকে ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে। তার মধ্যে শাল্লা সদরে দুই হাজার ২৮০ জন, বাহাড়া ইউনিয়নে দুই ২৮৪ জন, হরিপুর ইউনিয়নে দুই ২২৬ জন এবং আটগাঁও ইউনিয়নে দুই হাজার ২৮০ জনকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার ক্ষতিগ্রস্থ হাওরাঞ্চল পরিদর্শনে শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাল্লা উপজেলা সদরে শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফসলহারা কৃষকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। এর আগে ১৯৯৭ সালে জেলার জামালগঞ্জ এবং ২০০১ সালে শাল্লা উপজেলায় জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ তিনি ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর তাহিরপুরে আয়োজিত এক কৃষক জনসভায় এসেছিলেন।