প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর।। আসতে পারে নতুন ঘোষনা
মারুফ খান মুন্না :: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩০শে জানুয়ারী সিলেট আসছেন। তাঁর এ সফরকে ঘিরে জলপ্রপাত,হাওর, প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ খ্যাত সিলেটের চারদিকে উৎসবের আমেজ। শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে দলীয় নেতা-কর্মীরা উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। ব্যানার-ফেস্টুনেও ছেয়ে গেছে নগরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও অনেকগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এদিন এর সঙ্গে সিলেটের উন্নয়নে নতুন কোনো ঘোষণা আসবে কি না সেই প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষ। শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার এমনটাই মনে করেন সিলেটের সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের আগমনে সিলেটবাসীর যেসব স্বপ্ন অপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো আলোর মুখ দেখবে। সিলেটের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারাবরই আন্তরিক। যার প্রমাণ মেলে গত কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফর থেকে। নির্ধারিত উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও তিনি সিলেটের উন্নয়নে সিলেটবাসীর জন্য নতুন সুখবর দিয়েছেন। এবারের সফরেও তিনি অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন এবং উদ্বোধন করবেন। তবে বরাবরের মতো এবারও সিলেটবাসী রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে দারুণ কোন সুখবরের অপেক্ষায়। সরকারের দিতীয় মেয়াদে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন। এর ঠিক ১১ মাস পর একই বছরের নভেম্বর মাসে তিনি একই স্থানে ভাষণ দেন। তবে আগের দুইবারের সফরের চেয়ে এবারের সফর ঘিরে সিলেটবাসী এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরদের উচ্ছ্বাস কিছুটা বেশী। কেননা এবারে প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাছাড়া আগামী সংসদ এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সরকারের এই মেয়াদে শেখ হাসিনার সিলেটে শেষ সফর হতে পারে।
মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারী প্রথমবারে শেখ হাসিনা সিলেট সফরে যেসব উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন সেগুলো হলো- শাবির এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিইটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জৈন্তাপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, সিলেট এপিবিএন ব্যারাক ও ওসমানী থানা ভবন, খাদিমপাড়া হাসপাতাল, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ সামসুদ্দীন শিশু হাসপাতাল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ভবন। এছাড়াও অনেকগুলো উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, নারী পুলিশ ডরমেটরি ভবনের উর্ধ্বমুখী কাজের স¤প্রসারণ, শাহপরাণ থানা ভবন, সিলেট জেলা ও বিভাগীয় এনএসআই কার্যালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয়, তামাবিল স্থলবন্দর, সিলেট ইলেকট্রনিক সিটিসহ কয়েকটি রাস্তার কাজ।
এর প্রায় ১১মাস পর আবারো সিলেটে আসেন প্রধানমন্ত্রী। ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ নবগঠিত সদর দপ্তর ১১ পদাতিক ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেবারে এই আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করা হয়েছিল। তবে, ঐসময় নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে আসায় ওই সমাবেশ বাতিল হয়ে যায়। আর তাই তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত সিলেটের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।সব আয়োজন প্রায় শেষ হতে চলেছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় সিলেটবাসী। তিনি আসবেন, উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন এবং সিলেটের উন্নতির জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাবেন, এমনটাই মনে করছেন সিলেটবাসী। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্য পুরো আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তাকে স্বাগত জানাতে সিলেটবাসী প্রস্তুত।’