বার্তা ডেক্সঃপ্রেমঘটিত কারেণে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভাসির্টির ছাত্রী শর্মী রানী নাথ (২০) আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় টিলাগড় এলাকার সৈয়দ মঞ্জিল মহিলা হোস্টেল থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শাহপরান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই শর্মীর বাবা দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের শতেন্দ্র চন্দ্র নাথ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
তবে শুক্রবার বেলা আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি। মরদেহ এখনো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মামলার তদন্ত সংশ্লিস্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা শর্মীর সহপাঠি ও মেসে সহ-বর্ডারদের বরাত দিয়ে জানান, শর্মির সাথে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে গত কয়েকদিন ধরেই শর্মী হতাশ ছিলেন। কারো সাথে তেমন কথা বলতেন না। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতেন। বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধারের সময় শর্মীর বিছানা থেকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে পুলিশ। শর্মী মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি টিলাগড় এলাকার ওই নারী হোস্টেলের ২য় তলায় বছরখানেক ধরে ভাড়া থাকতেন।
সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শর্মীর বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১০০ বার