প্রেমিকাকে খুশি করতে পুলিশের পোশাক ও উপ পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ব্যাজ পরে থানার নামফলকের সামনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন এক তরুণ। ফোনের অন্য প্রান্তের মানুষটির কাছে তিনি পুলিশের এসআই, সেটা প্রমাণের চেষ্টা করছিলেন। পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি দেখছিলেন ওই থানার এক কনস্টেবল। জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে তিনি নিশ্চিত হন, ওই তরুণ ভুয়া পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম দীপ্ত আচার্য (২৩)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার নিহার আচার্যের ছেলে। তিনি বেকার এবং ভৈরবে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশের পোশাক পরে ভৈরব থানায় আসেন দীপ্ত। তিনি নামফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। পাশে দাঁড়ানো এক কনস্টেবলের তার কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয়। তিনি কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘স্যার, কোন থানা থেকে এসেছেন?’ শেষে প্রমাণ হয় তিনি পুলিশের কেউ নন। পুলিশের ধারণা, প্রেমিকার কাছে তিনি পুলিশে চাকরি করেন, এমন তথ্য দিয়ে থাকতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজনে প্রমাণের স্বার্থে তিনি থানার সামনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, পুলিশের পোশাক ও ব্যাজ পরিধান করে প্রতারণার অভিযোগে দীপ্ত আচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পোশাক পরিধান করে প্রতারণার বিষয়ে দীপ্ত আচার্য বলেন, ভৈরবে তিনি ঘুরতে এসেছিলেন। পরে থানায় এসে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলেন। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। – খবর প্রথম আলোর
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২৩ বার