প্রেমের জেরে সোহেল তাজের ভাগ্নেকে অপহরণের অভিযোগ
সোহেল তাজের ফেসবুক স্ট্যাটাস
গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাতে সৌরভের বনানীর বাসা থেকে সাদা পোশাকে একদল লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বাসার সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায় তারা। একটি কালো গাড়িতে তুলে তার চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে দেয়। একটি কক্ষে নিয়ে এক রাত রাখা হয় তাকে। এ সময় সৌরভকে ওই ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন রাতে তাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে বেশ কয়েকবার সৌরভকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৯ জুন তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নিয়ে নগরের আফমি প্লাজার সামনে আসতে বলা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৌরভ আফমি প্লাজার সামনে যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা।
সৌরভের বাবা সৈয়দ ইদ্রিস আলম সমকালকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন পরিচয়ে ব্যবসায়ী সালেহ আজাদের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া একবার র্যাব-১-এর পরিচয় দিয়ে তাকে তুলেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা অফিসার পরিচয়ে সৌরভকে আইটি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি দেবে বলে বাসা থেকে আফমি প্লাজার সামনে ডেকে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তার আর খোঁজ পাচ্ছি না।’ সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান সমকালকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী সালেহ আজাদ চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে একাধিকবার সৌরভকে হয়রানি করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আমার ছেলের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।’ সৌরভের বড় ভাই তানভীর শাহরিয়ার সম্রাট বলেন, ‘সৌরভ নিখোঁজের পরপর সালেহ আজাদ চৌধুরীকে ফোন করা হয়। তিনি বলেছিলেন, আমি দুই বছর ধরে তোমার ভাইয়ের অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। একদিনের মধ্যে তোমরা অধৈর্য হয়ে পড়েছ। তোমাদের তো অনেক ক্ষমতা, এখন ভাইকে নিয়ে আসো।’ তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ী আবু সালেহ চৌধুরী আজাদ সমকালকে বলেন, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। সৌরভকে তিনি কখনও সরাসরি দেখেননি। এ বিষয়ে তাকে জড়িয়ে অভিযোগ করে থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খতিয়ে দেখতে পারে। তবে তার মেয়ের সঙ্গে একসময় সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে নগর পুলিশের উপকমিশনার বিজয় কুমার বসাক সমকালকে বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি। যেসব বিষয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সৌরভের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।