ফরহাদ মজহার বারডেমে ভর্তি
মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে ফরহাদ মজহারকে নিজ জিম্মায় মুক্তি দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আহসান হাবিব। এরপর তাকে নিয়ে আদালত থেকে রওনা দেন স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সম্তলী হক। সন্ধ্যা নাগাদ তারা শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে পৌঁছান। এরপর তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৫টার পর রাজধানীর শ্যামলীর নিজ বাসা থেকে বের হবার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। এর ১৯ ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে যশোরেরে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যশোর থেকে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে ঢাকার আদাবর থানায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ডিবি কর্মকর্তাদের কাছে নিজের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার বিবরণ জানান ফরহাদ মজহার। পরে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন ফরহাদ মজহারের বরাতে তাকে অপহরণের কথা জানান।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহার আমাদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে তিনি রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ১ নম্বর বাসা থেকে বের হন। এর পরপরই বাড়ির সামনে থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ধরে চোখ বেঁধে একটি সাদা মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাত ১০ থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে ফরহাদ মজহারকে আদালতে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। সেখানে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে নিজ জিম্মায় মুক্তির অনুমতি দেন আদালত।