ফারজানা রুপার ওপর হামলায় আরইউজে’র উদ্বেগ
একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রূপা ও তার সহকর্মীরা যখন ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনে লাইভ সংবাদ প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে টিভি ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশে রিপোর্ট করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। লন্ডনে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির হাতে বাংলাদেশের সাংবাদিক ফারজানা রূপার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আরইউজে নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন- কমনওয়েলথ শীর্ষ সন্মেলনের খবর সংগ্রহের জন্য একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রূপা বর্তমানে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। কমনওয়েলথ শীর্ষ সন্মেলনের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি সেদেশে জামায়াত শিবিরের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার বিষয় নিয়েও তিনি তার টেলিভিশনে রিপোর্ট করেন। ব্রিটেনের চ্যানেল-৪ এ যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বৃটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকিকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক খবর সম্প্রচারের বিষয়টিও তার রিপোর্টে তুলে ধরা হয়। এতে ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়া জামাত-শিবির চক্র রূপার ওপর রুষ্ট।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) নিউ ক্যাসেল এলাকায় রিপোর্ট সংগ্রহের সময় ওই সন্ত্রাসী চক্র দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে রূপাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আরইউজে নেতৃবৃন্দ ব্রিটেনের মত সভ্য দেশে প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ একটি মাত্র সূত্র ব্যবহার করে চ্যানেল ৪ যে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ সংবাদ সম্প্রচার করেছে তারও প্রতিবাদ জানান। ওই রিপোর্টে সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি বলেও দাবি করেন । বিবৃতিদাতারা হলেন- রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ ( বৃটেনে অবস্থানরত), সহ-সভাপতি শরীফ সুমন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান টুকু, জনাব আলী ও সামাদ খান।