গত বছরের শেষ ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে সর্বমোট ৪৯টি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। এসব অনুরোধের মাধ্যমে ৫৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আর সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দেওয়ার কথা জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। বৃহস্পতিবার ফেসবুকের প্রকাশ করা ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ ‌-এ এমন তথ্য জানা গেছে। কোন কোন দেশের সরকার তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, তাদের অনুরোধের ধরন কী-এসব উল্লেখ করে প্রতি ছয় মাস পরপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে তা ফেসবুকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় না।

ছয়মাস পর পর প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের অনুরোধের সংখ্যা প্রকাশ করেছে ফেসবুক। নতুন এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইনি প্রক্রিয়ার (লিগ্যাল প্রসেস) জন্য ফেসবুকের কাছে ২৪টি অনুরোধের মাধ্যমে ৩২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। এক্ষেত্রে ফেসবুক ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ তথ্য দিয়েছে। আর জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে ২৫টি অনুরোধের মাধ্যমে ২৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে ফেসবুক ৪০ শতাংশ সাড়া দিয়েছে।

২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকের প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ওই সময় ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলারও অনুরোধ করে ফেসবুককে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়। তারও আগে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তিনবার অনুরোধের মাধ্যমে এই তিনজনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তবে সরকারের ওই অনুরোধে ফেসবুক সাড়া দেয়নি।

২০১৪ সালের শেষ ছয় মাসে পাঁচটি অনুরোধের মাধ্যমে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। মোট সাতটি অনুরোধের মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের আগস্টে চাওয়া হয়েছিল ১২ জনের তথ্য। সেগুলোর সাড়া দেয়নি ফেসবুক।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn