বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না: মমতা
ভারতের কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপিত আবক্ষ ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার দাবি নাকচ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তাঁর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বৃহস্পতিবার মমতার বরাত দিয়ে কলকাতার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ কথা জানায়। মমতা বলেন, ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। গেলো ১৭ মার্চ বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এরপর সারাবাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার দাবি জানান। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। কলেজে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু এই হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ১৯৪৬ সালে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। ইসলামিয়া কলেজের নাম পাল্টে এখন মৌলনা আজাদ কলেজ হয়েছে। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি।