বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস ভারতের
ভারত সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস দিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আজ বুধবার দিল্লীতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে, এছাড়া আলোচনা হয়েছে অমীমাংসিত তিস্তা চুক্তির মতো বিষয়েও। বৈঠকের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জানিয়ে যাওয়ায় মাহমুদ আলী ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সুষমা স্বরাজকে। জবাবে সুষমা স্বরাজও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমাদের সমর্থন নিশ্চিত।’ গত বছরের অক্টোবরেই দুই দেশের মধ্যেকার চতুর্থ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় গিয়েছিলেন, তার তিন মাসের মধ্যেই আবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হল। বৈঠকে স্বরাজ জানিয়েছেন, রাখাইন স্টেটের বাস্তুচ্যুত মানুষরা যাতে তাদের আবাসভূমিতে ফিরে যেতে পারেন, সে জন্য তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ভারত তাদের সমর্থনের অঙ্গীকারে অবিচল থাকবে।
রাখাইনের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট’ বা সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে সে বিষয়েও এ এইচ মাহমুদ আলী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশদে অবহিত করেন। উত্তর রাখাইন প্রদেশে ভারত এই মুহূর্তে কী ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচী নিয়েছে, সুষমা স্বরাজও সে বিষয়ে বিস্তারিত জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ কথাও জানানো হয় যে, উত্তর রাখাইনে যারা ফিরে আসছেন তাদের বেশির ভাগেরই গ্রাম ও ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, তাই ভারত সেখানে তাদের জন্য প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড বাড়িঘর তৈরি করে দিচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি সামলানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ‘গভীর পরিণত প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে কথাও জানান দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রথম দিকে বাংলাদেশের অনুযোগ ছিল ভারতের কাছ থেকে তারা প্রত্যাশিত সাড়া বা সহযোগিতা পাচ্ছেন না।