বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি হবে সিলেট: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিটি হবে সিলেট। যেখানে যেকোনো জায়গাতে সবাই ওয়াইফাই বিনে পয়সায় পাবে। এগুলো ম্যানেজ করতে আমাদের অনেক দক্ষ লোক দরকার। যা বাস্তবায়নে এই আমাদের এই নবীন শিক্ষার্থীসমাজ এগিয়ে আসবে। বুধবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের দুইদিনব্যাপি নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রথমদিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থিক অবস্থা এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন দেশে আর কোনো মঙ্গা নেই। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা সামাজিক অবস্থানে অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। এর কারণ আমাদের গতিশীল মানুষ এবং আমাদের খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তবায়ন চাই, যেখানে অন্ন বস্ত্র বাসস্থান নিশ্চিত থাকবে। গত দশ বছর যেভাবে দেশের অগ্রগতি হয়েছে আমরা যদি সেভাবে এগিয়ে যাই তবেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে।
তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলে নিজেদের মধ্যে বিশ্বস্ততা অর্জন করুন। আমরা বিজয়ের জাতি, আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারবো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার একটি আত্মিক সম্পর্ক। আজকে আমার আনন্দ লাগছে এই নবীনবরণে যোগদান করায়।এই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ভালো একটি অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমান সরকার যেখানে এই সিলেট অঞ্চলে তৈরি করছে হাইটেক পার্ক, প্রাইভেট ইকোনোমিক জোন এবং বিমানবন্দরও অনেক বড় হবে। আমাদের সিলেট জেলায় শিক্ষার হার কম। এর কারণ বিদেশ যাওয়া ছাড়াও অবকাঠামোগত অভাব। এই বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাসসহ, ভর্তি কমিটির সভাপতি শামসুল হক প্রধান, সদস্য সচিব জহীর উদ্দিন আহমেদ, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, সিলেবাস, মাইগ্রেশন ফর্ম এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র দেয়া হয়।