বিএনপি গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করেছিল
প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, আজ থেকে চার বছর আগে আমরা বিএনপির ষড়যন্ত্র দেখেছিলাম। সেই ষড়যন্ত্র ছিল গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখার। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রত্যয় দেখেছিলাম। সেই প্রত্যয় ছিল গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সুসংগঠিত রাখার। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনের কারণেই আজ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সাংবাদিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ৫ জানুয়ারি ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এই সমাবেশে আয়োজন করে। একাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে ইকবাল সোবহান বলেন, ২০১৮ সালের এই নতুন বছর আমাদের জন্য পরীক্ষার বছর। এবছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বচনের মধ্য দিয়ে নতুন করে প্রমাণ করতে হবে যে, দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে। এদেশের মানুষ সংবিধান সংরক্ষণের পক্ষে। এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে তাদের হয়ে কাজ করতে হবে। আর সেই নির্বাচনে দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে পরাজয় ঘটাবে। মনে রাখতে হবে, দেশের যখন ক্রান্তিলগ্ন আসে তখন সাংবাদিকরা সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। কেননা সাংবাদিক শুধু নিজেদের রুটিরুজির জন্য আন্দোলন করে না, দেশের বিপদেও তারা আন্দোলন করে থাকে। যার প্রমাণ ৫ জানুয়ারির নিবার্চন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন, আর প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের জন্য কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে ইসলামের নামে যারা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তাদের দ্বারা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এমনকি তারা দেশের উন্নয়ন চায় না।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সেই ষড়যন্ত্র সফল হয় নাই। সেই নির্বাচন যদি না হতো তবে দেশে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার আসতো উন্নয়নের ধারা থমকে যেত। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব শাহজাহান মিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করবার জন্য খালেদা জিয়া দেশের জনগণকে জিম্মি করে ছিল। গণতন্ত্রকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছিল। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, তিনি বলছেন পদ্মা সেতু নাকি জোড়া তালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। আসলে যে কোন স্থাপনা তো জোড়া তালি দিয়েই বানানো হয়। বিশ্ব ব্যাংককে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু বানিয়ে শেখ হাসিনা দেশের মুখ উজ্জ্বল করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫ জানুয়ারি একটা ঐতিহাসিক দিন, এই দিনে গণতন্ত্র, সংবিধান রক্ষা পেয়েছে। গণমাধ্যম সব সময় নায্যতার পাশে থাকে, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পাশে ছিল। ওই দিন গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করবার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পক্ষে দাড়িয়েছিল সেই দিন। সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, খালেদা জিয়া আজকে সহায়ক সরকারের দাবি তুলছে, কিন্তু এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কুলসিত তিনিই করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপীল বিভাগ থেকে বাতিল হয়ে গেছে। এই দাবি তুলে আর কোন লাভ নেই, দেশে একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার তা সৃষ্টি করেন। ২০১৪ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস করলে জনগণকে পাশে পাবেন না। সাংবাদিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।