খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায়ের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের প্রধান খবর ছিল এটি। কিছু সংবাদমাধ্যম আবার এ নিয়ে বিশ্লেষণও প্রকাশ করেছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনলাইন সংস্করণে শিরোনাম করা হয়েছে ‘সংঘর্ষের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতির দায়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার ঘটনায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’ বার্তা সংস্থা এএফপির শিরোনাম ছিল এ রকম—‘বিরোধীদলীয় নেতা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত।’ খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘একটি এতিমখানার জন্য ২ লাখ ৫২ হাজার ডলার চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা খালেদা জিয়া।’ অন্যদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ছিল, ‘ঘুষের জন্য বাংলাদেশর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাদণ্ড, আপিলের পরিকল্পনা’।

খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের খবরে হওয়া বিক্ষোভের বিষয়টি শিরোনামে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণ। শিরোনাম ছিল, ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়ায় বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারকের রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে খালেদা জিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার শিরোনাম ছিল, ‘দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর জেল’। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর খবর দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। ‘আমি ফিরে আসব, কাঁদার প্রয়োজন নেই’— এটা ছিল হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম। আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে খুললে প্রথমেই চোখে পড়ছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের খবর। খবরের শিরোনাম হলো, ‘৫ বছর কারাদণ্ড খালেদা জিয়ার, উত্তপ্ত ঢাকা’। অন্যদিকে দ্য হিন্দুর অনলাইন সংস্করণের আন্তর্জাতিক বিভাগে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে এ খবর। এতে বলা হয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ায় (পিটিআই) প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত।’ খবরে আরও বলা হয়, একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লেখা মতামতে সাংবাদিক জ্যোতি মালহোত্রা বলেছেন, খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ায় আরও শক্তিশালী হবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর অনলাইন সংস্করণে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের খবর। শিরোনাম ছিল, ‘আত্মসাৎ করায় বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড।’ সূত্র : প্রথমআলো

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn