বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে
হবিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই কনস্টেবলের নাম মো. নবীর হোসেন।বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাফরোজা পারভীনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানসী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আলীর বাড়িতে তার এক আত্মীয়র সঙ্গে বেড়াতে যায় নবীর।নবীর একই উপজেলার কাজীহাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়ালের ছেলে এবং সিলেট এসএমপি কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। সেখানে শোভার সঙ্গে তার পরিচয়। এ সময় নবীর তার চাচাতো বোনের কাছ থেকে শোভার মোবাইল নম্বর নেয়। পরে প্রতিদিন শোভাকে ফোন করে বিরক্ত করতো। এতে শোভা তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বিরক্ত না করার জন্য নবীর হোসেনকে অনুরোধ করে। কিন্তু নবীর হোসেন তারপরও শোভাকে বিরক্ত করছিল। একপর্যায়ে শোভা তার প্রতি দুর্বল হয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি নবীর হোসেন ফোন করে শোভাকে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সে শোভাকে কয়েক দিনের মধ্যে বিয়ে করবে প্রলোভন দেয় এবং এ বিষয়টি কাউকে না জানাতে অনুরোধ করে। এরপর আবার সে ৫ ফেব্রুয়ারি, একই বছরের ১৪ এপ্রিল, ১৩ মে ধর্ষণ করে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় আবার নবীর হোসেন শোভার বাড়িতে এসে তাকে বিয়ে করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শোভা ৪ বার গর্ভের সন্তান ধারণ করলেও নবীর হোসেন তাকে ওষুধ সেবন করিয়ে নষ্ট করে।পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে সে ৭ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ আদালতের মামলার পরামর্শ দেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর ভুক্ত করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে নবীর হোসেন হাইকোর্ট থেকে এক সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসে।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে বিকেলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।