ঝালকাঠির রাজাপুরে এবার ৬১নং উত্তর পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সোহাগকে মারধর, টাকা ও সোনা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে ওই স্কুলের সাবেক সভাপতি আঃ বারেক হাওলাদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষক। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নৈকাঠি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন সোহাগ অভিযোগ করেন, গত ২ এপ্রিল দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রথম শিফটের পাঠদান শেষে তিনি বিদ্যালয়ের পাশে আবদুল জব্বারের চায়ের দোকানে নাস্তা করে স্কুলে ফেরার পথিমধ্যে সাবেক সভাপতি আঃ বারেক হাওলাদারের সাথে ম্যানেজিং কমিটির বিরোধ ও দাবিকৃত ২০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতির জের ধরে  পূর্বপরিকল্পিতভাবে আঃ বারেক হাওলাদার ও তার দলবল মিলে শিক্ষক সোহাগকে জুতাপেটা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সাথে থাকা ১৮ হাজার ৭ শত টাকা ও ১ ভরি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর ৪ এপ্রিল আঃ বারেক হাওলাদারকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করে রাজাপুর থানায় মামলা (নং-২) করলেও ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতার না করায় আসামীরা হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধনের হুমকি দিচ্ছে। সোহাগ ৬১নং উত্তর পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিও। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক সমাজ’র উপজেলা সভাপতি মহসিন উদ্দিন ও সেক্রেটারি একে আজাদ খানসহ উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শান্তির দাবি করেন এবং শিক্ষক সুরক্ষা আইনের দাবি জানান। অভিযুক্ত বারেক হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরআগেও ২৬ মার্চ দুপুরে স্কুলের মাঠ ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়ার জেরে সাতুরিয়া এমএম পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে মারধর করেন সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির। এছাড়া ৭ এপ্রিল আঙ্গারিয়া গ্রামের নব প্রতিষ্ঠিত ফজিলাতুননেছা প্রতিবন্ধী স্কুলের সহকারি শিক্ষক আল আমিনকেও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের একনেতা মারধর করেছে বলে ওই শিক্ষক রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn