ব্যাটারি চালিত যানবাহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, টমটম, নছিমন ইত্যাদি যানবাহনের উপর এদেশের লাখ লাখ মানুষের জীবীকা নির্বাহ হয়। অথচ এসব যানবাহনের সরকারি কোনো লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়া চলাচল করা এসব যানবাহন বন্ধ করাও যাবে না। এসব যানবাহন বন্ধ করে দিলে, বন্ধ হয়ে যাবে লাখ লাখ মানুষের জীবীকা। তাই এসব যানবাহন নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এসব যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এসব যানবাহনের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত। পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাটারি চালিত সকল প্রকার যানবাহনকে শৃংখলার মধ্যে আনা হবে। ৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের নিজ বাড়ি ‘হিজল-এ’ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে ওই কথা বলেন। অবৈধ করাত কলের কারণে দেশের বনবিভাগ উজার হয়ে যাচ্ছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশের আনাচে কানাচে অবৈধভাবে অসংখ্য করাত কল স্থাপন করা হয়েছে। তারা গাছ কাটার ব্যাপারে কোনো নীতিমালা মানে না। কারণ তারাইতো কোনো নীতিমালার মধ্যে নেই। এদের কারণেই বনবিভাগ উজার হয়ে যাচ্ছে। এসব করাত কলে সিংহভাগই চোরাই গাছ কাটা হয়। এই অবস্থার অবসান হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দ্বারা এসব অবৈধ করাত কলকে লাইসেন্স দিয়ে পরিচালনা করা হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দেশে কয়েক কোটি টিভি ব্যবহার হয়। এসব টিভি যারা ব্যবহার করছেন তাদের কয়জনের লাইসেন্স আছে তা সঠিক করে বলা যাবে না। অনিয়মের কারণে এই খাত থেকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আগামীতে নতুন একটি পরিকল্পনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ফোরামে তুলে ধরবো। যারা নতুন টিভি কিনবেন তারা টিভি কেনার সময় নির্ধারিত ট্যাক্স দেবে। ওই টাকা পরিশোধ করবেন টিভি শোরুমের মেমোর মাধ্যমে। যা সরকারের রাজস্ব খাতে চলে যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রেগ্রাম প্লানার মনজুরুল আমিন দোয়েল প্রমুখ।