ব্যারিষ্টার ইমনে’র সমর্থনে গণমিছিল-‘লাঙ্গল হঠাও নৌকা ভাসাও’
সুনামগঞ্জ-৪ (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে এবার দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানিয়ে রোববার সুনামগঞ্জ শহরে জেলা আওয়ামীলের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমনে’র সমর্থনে বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে ইমন সমর্থক দলীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবার বিষয়ে এবার এককাট্টা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। এনামুল কবির ইমন এ গণমিছিলে নেতৃত্বে দেন। ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ও ‘লাঙ্গল হঠাও নৌকা ভাসাও ‘স্লোগান নিয়ে হয় এ মিছিল। গণমিছিলে অংশ নিতে আজ সকাল থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহর, সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা পৌর শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসে জড়ো হন। সকাল থেকেই মাঠে গণসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। পরে এখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর দুপুরে শহরে গণমিছিল বের হয়। মিছিলে শেখ হাসিনা, নৌকা মার্কা ও এনামুল কবিরের সমর্থনে নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা সদরের আসন থেকে বারবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। জেলা সদর হিসেবে রাজনীতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই আসনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু গত দুটি নির্বাচনে এখানে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এবার কোনোভাবেই এই আসন শরিকদের দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ থেকে এনামুল কবির ইমনকে এখানে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘আমাকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিই। সে হিসেবে আগামী নির্বাচনে এখানে আমিই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এবার শরিকদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জেলা আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ। আমরা সবাই আগামী নির্বাচনে এখানে নৌকার প্রার্থী চাই।’ দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ আশাবাদী এনামুল কবির। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নান্টু রায় ও হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ইশতিয়াক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিজিৎ চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহ আবু নাসের, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মফিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল আজাদ রুমান, জেলা কমিটির সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু, মলয় চক্রবর্তী রাজু, রফিকুল্লাহ ফজুল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বেলা ১টায় শহরে গণমিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইশতিয়াক শামীম দাবি করেছেন, সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে প্রায় ১০ হাজার মানুষ গণমিছিলে অংশ নিয়েছেন।