বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যা ,গুম ও খুন বন্ধে ব্রিটিশ সরকারের কার্যকরী ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের দাবিতে সাপোর্ট লাইফ ইউকে শুক্রবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে গুম ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিত পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও শুভাকাক্ষিরা অংশ নেয়। এছাড়া ইউনিভার্সাল ভয়েস ফর জাস্টিস ও সেইভ বাংলাদেশসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনও সমাবেশে তাদের ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়। ডক্টর মামুন রহমানের সভাপতিত্বে ও শামসুল আলম লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বড় ভাই মামুন আল আজমী, মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়ার আত্মীয় শরীফুজ্জামান তপন , মুজিবুর রহমান মুজিব , ডঃ রুহুল আমীন, ছাত্রনেতা রিবলু, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মাহবুব আলী খানশূর সহ আরো অনেকে।
সমাবেশ থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতি বাংলাদেশে অব্যাহত গুম , খুন ও ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাব ও একটি পূর্নাঙ্গ অধিবেশন গ্রহনের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে গুম হওয়া বিএনপি’র সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আজমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমী, দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান , অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম হিরু, ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সিলেটের ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমেদ দিনারসহ শত শত মানুষের ছবিসম্বলিত প্লেকার্ড বহন করে। প্লেকার্ডে তারা সাত শতাধিক মানবতা বিরোধী ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে নানা বার্তা প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা তাদের শ্লোগানে শেখ হাসিনাকে গনতন্ত্র হত্যার জন্য পদত্যাগের আহবান জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন , বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বোনের মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বহির্বিশ্বে আওয়ামী সরকারের পক্ষে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। ইরানে আটক এক ব্রিটিশ মহিলার মানবাধিকার রক্ষার প্রচারনায় টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে অংশ নিতে পারলেও বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হয়েও বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় টিউলিপ কোন ভ্রুক্ষেপই করে না। এছাড়া রাশিয়ায় শেখ হাসিনার সাথে সফর ও সেদেশের সাথে অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতা করায় বিতর্কিত হয়েছে টিউলিপ। তাই যথাযথ তদন্ত করে টিউলিপকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে বহিস্কার করতে হবে।

ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মিডিয়া সেক্রেটারী মেহেরুন নেসা বলেন , বাংলাদেশে গনতন্ত্র হত্যা ও মানুষের বাক স্বাধীনতা হত্যা করেছে এই আওয়ামী সরকার।
সমাবেশ থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতি বাংলাদেশে অব্যাহত গুম , খুন ও ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাব ও একটি পূর্নাঙ্গ অধিবেশন গ্রহনের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে গুম হওয়া বিএনপি’র সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আজমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমী, দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম হিরু, ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সিলেটের ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমেদ দিনারসহ শত শত মানুষের ছবিসম্বলিত প্লেকার্ড বহন করে। প্লেকার্ডে তারা সাত শতাধিক মানবতা বিরোধী ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং খুনিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে নানা বার্তা প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা তাদের শ্লোগানে শেখ হাসিনাকে গনতন্ত্র হত্যার জন্য পদত্যাগের আহবান জানান।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন একটি পরিবারের দুঃশাসন ও অত্যাচার নির্যাতনে আজ বাংলাদেশে আইনের শাসন বলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই শেখ হাসিনার অপশাসনে। শত শত মানুষকে গুম করা হচ্ছে সরকারী বাহিনীর মাধ্যমে। আবার অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ভয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন না। কারন অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ গুম হওয়া পরিবারকে সাহায্যের পরিবর্তে আরো বেশি নির্যাতন ও নিপীড়ন করে। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পুলিশ জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের মানুষ নিষ্কৃতি চায়।
সমাবেশ শেষে একটি স্মারকলিপি হাউস অব পার্লামেন্টের স্পিকারের সহকারীর কাছে পাঠানো হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর একেএম নাজির আহমাদ এর ছোট ছেলে আহমাদ ফুয়াদ হাসান, মানবাধিকার কর্মী মোঃ আবুল কাশেম , শিবিরের সাবেক নেতা মাছউদুল হাসান , ছাত্রদল নেতা মাহমুদ উল্লাহ হান্নান ,যুবদল নেতা আব্দুল আলীম , স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আলমগীর শেখ, আইনজীবী ফোরাম নেতা শেখ আব্দুল্লাহীল রাব্বি, যুবদল নেতা নিজাম উদ্দিন দোদন, ছাত্রদল নেতা মোঃ বেলাল হোসাইন পাশা , সাবেক ছাত্রনেতা শেখ তরিকুল ইসলাম , এডভোকেট শেখ তরিকুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা রউশিন মোস্তারী মিয়া সাহেবসহ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn