ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ৩৫১ জন
দ্বিপাক্ষিক সফরে ৩৫১ জনের বিশাল বহর নিয়ে শুক্রবার ভারত রওনা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে তিন ডজনের মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারত যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৯ অগাস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত অক্টোবর গোয়ায় গেলেও তার কোনটিই দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। চার দিনের সরকারি এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রীর ৩৫১জন সফরসঙ্গীর মধ্যে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির নেতৃত্বে ২৫৭ সদস্যের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। থাকবেন সাত মন্ত্রী এবং ২৫ সচিব।
এই সফরে ভারতের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও থাকছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম।
শুক্রবার সকালে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটে দিল্লি রওনা হবেন শেখ হাসিনা। রাতে বাংলাদেশের হাই কমিশনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। যাবতীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এই সময়ই সই হবে।বিকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সৈন্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। রাতে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।রোববার আজমির শরীফ জিয়ারত করে বিকেলে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। রাতে রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেবেন।সোমবার হোটেল তাজমহলে ব্যবসায়ীদের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে তিনি ঢাকা ফিরবেন।