যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকায় ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি’র দেয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে গত ২৮শে অক্টোবর মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তাইতো বিমানবন্দরে সাকিবের চোখেমুখেও দেখা গেছে মুক্তির আনন্দ। দীর্ঘ ১২ মাস পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সাকিব। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল লাউঞ্জে সাকিব বলেন, ‘এবারের ফেরাটা অবশ্যই ব্যতিক্রম, অন্যান্যবার হয়তো কোনো জায়গা থেকে খেলে আসি বা কোনো জায়গা থেকে ঘুরে শেষে দেশে ফিরি। এবারও হয়তো কোনো একটা কাজ শেষে আসলাম দেশে। কিন্তু এবার যেটা হলো মাথার ওপর যে চাপ ছিল সেটা ঝেড়ে আসতে পারলাম।’ সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই এবার একটা স্বস্তি নিয়ে এসেছি। এর আগে যখন এসেছি তখন তো এ রকম স্বস্তিতে ছিলাম না।এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে সবার এই ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনের প্রতিদান দেয়া। আমি দেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের সবার সমর্থন চাই আমি।’ এ মাসেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে সাকিবের মাঠে ফেরার কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে টি-টোয়েন্টি খেলে নিজেকে প্রস্তুত করতে চান। তবে ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে সাকিবের কোনো তাড়াহুড়ো নেই। সঠিক প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে ফিরতে চান তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি আশা করবো যত দ্রুত সম্ভব (আগের অবস্থায় ফিরে আসার।) তবে আমি তাড়াহুড়ো করতে চাই না। অন্য সবার মতো আমারও সময়ের প্রয়োজন। আশা করি সময় পাবো। নিজেকে আবার আগের মতো তৈরি করে নিতে পারবো।’
আগামী বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে খেলতে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের। ওই সিরিজের আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করার লক্ষ্য সাকিবের। আর ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই সামনের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা পুরোপুরি খেলতে চান সাকিব। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার বলেন, ‘আসলে সব খেলাই প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমার প্রস্তুতি অনেক ভালো হবে যদি পুরোটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারি ভালোভাবে। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার কথা সামনে সেদিক থেকে চিন্তা করলে প্রস্তুতির জন্য এই টুর্নামেন্টই একমাত্র জায়গা। সব খেলোয়াড়ই প্রকৃতপক্ষে প্রস্তুতিটা নিতে পারবে।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫৪ বার